লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে ফাঁকা বরিশালের সড়ক-মহাসড়ক

করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে সরকার ঘোষিত ৪র্থ দফা লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে ফাঁকা বরিশালের প্রধান প্রধান সড়ক। প্রথমদিন কিছুটা ঢিলেঢালা লকডাউন চললেও আজ শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকেই কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।
এতে সড়কে রিকশা ও মোটরসাইকেল ছাড়া আর কোন পরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। নগরীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের পাশাপাশি আজ সেনাবাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে। জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, নগরী সেনা বাহিনীর দুটি টিম লকডাউন কার্যকরে কাজ করছে।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নথুল্লাবাদ ও রূপাতলী বাস টার্মিনাল, সদর রোড, বাংলাবাজার, নতুন বাজার, সাগরদি, চৌমাথা গড়িয়ার পাড়, কর্ণকাঠি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। সড়কে চলাচলকারী সকল ব্যাক্তি ও রিকশা-মোটরসাইকেলকে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। জবাব সন্তোষজনক হলে চেকপোস্ট অতিক্রম করতে দিচ্ছে ; না হলে চেকপোস্ট থেকে ফিরিয়ে দিচ্ছে।

এদিকে নগরীর পোর্টরোড রসুলপুর মৎস অবতরণ কেন্দ্র, রূপাতলী হাউজিং বাজার, চৌমাথা ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কারোর মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বালাই নেই। টহল গাড়ির খবর পেলে মাস্ক মুখে পড়লেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে দেখা যায়নি বাজারে।
ওদিকে লকডাউন কার্যকরে নগরীতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট জাবেদ হোসেন চৌধুরি, লাকি দাস ও রয়া ত্রিপুরা পৃথক তিনটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন। ইতিমধ্যে লকডাউন অমান্য করায় অনামি লেন, ফকির বাড়ি রোড, রূপাতলী ও নথুল্লাবাদে কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাবেদ হোসেন চৌধুরী জানান, মানুষকে সচেতন করতে এবং লকডাউন কার্যকরে অভিযান চালানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরো কঠোর করা হবে। তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে ঘরে থাকার বিকল্প কিছুই নেই।
কেআর