মনপুরায় আমন ধানের ১৮০ হেক্টর বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি: কৃষকেরা দুশ্চিন্তায়


মনপুরায় একটানা ৪ দিনের বৃষ্টিতে ও সাগরের লঘুচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের আমান ধানের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমন ধানের বীজতলা পানির নীচে থাকায় চারার পচন শুরু হয়েছে। পানি কমতে খাকলেও মাটির সাথে চারা মিশে গিয়ে পচন ধরেছে।
বীজতলার চারার পাতাগুলো পানিতে ভাসতে দেখা গেছে। পানি কমতে থাকলেও আমন চারার পচন ধরেছে। কৃষকেরা চারা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। চরা নষ্ট হয়ে গেলে কিভাবে আমন চারা লাগাবেন। সময়ও নেই। চরযতিন গ্রামের রুহুল আমিন সর্দার, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ আবুল হাসেম, জয়নাল আবদীন ও সোনারচর গ্রামের সুবোধ চন্দ্র দাস, পলাশ চন্দ্র দাস, ইউসুফ(বেচু), নিত্যলাল , মোঃ কামাল , হাসান ও মনোরঞ্জন দাস জানান, টানা বৃষ্টির কারনে আমন ধানের বীজতলা পানির নীচে ডুবে গেছে।
ধানের চারাগুলো পচন লাগছে। পানি কমলেও মাটির সাথে চারাগুলো বাতাসের সাথে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। আমরা খুব চিন্তায় আছি। কিভাবে যে চাষাবাদ করব। এই ব্যাপারে হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিন হাওলাদার বলেন , টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পনি ঢুকে মানুষের ঘরবাড়ীসহ আমন ধানের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমি দ্রত পানি নিঃস্কাশনের জন্য নিজে উপস্থিত থেকে প্রতিটি স্লুইসগেটের কপাট খুলে দিয়েছি। পানি কমতে শুরু করেছে। কৃষকের বীজতলার যে ক্ষতি হয়েছে তার বিষয় কৃষি কর্মকর্তাকে অবহিত করব।
এব্যাপরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকাশ বৈরাগী বলেন, ১২হাজার ৫শত হেক্টর আবাদী জমিতে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নিয়ে ৫৩০ হেক্টর আমন ধানের বীজতলা তৈরি করেছেন কৃষক। টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে কিছু নীচু জমির বীজতলার আমন ধানের বীজ নষ্ট হয়েছে। ১৮০ হেক্টর আমন ধানের বীজতলার ক্ষতি হয়েছে। পানি কমলে আবদী জমিতে কৃষকেরা ধানের চারা রোপন করতে পারবে। এ বিষয়ে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
এইচকেআর
