আপনারা কী চান, আমাদের বলবেন


‘আমাদের প্রথম কাজই হচ্ছে মহামারির মধ্যে কাজ করা। সেনাবাহিনী কঠোর হলে কী হবে, মানুষ যদি সচেতন না হয়। কোনো উপকারে আসবে না। এর জন্য কোনো দল নেই, মত নেই। প্রত্যেক মানুষকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে।’
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা এরিয়া কমান্ডার ও জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (৩৩ পদাতিক ডিভিশন) মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হারুন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য কিন্তু মারা বা লাঠিচার্জ করা নয়। আমাদের কাজই হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। আমাদের কাজ বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করা। আপনারা কী চান আমাদের বলবেন। আমরা প্রজাতন্ত্রের সেবক। বৃহত্তর স্বার্থে প্রশাসন যা চাইবে, আমরা তা-ই করব। এখন যে করেই হোক জনগণকে বোঝাতে হবে। জরিমানা দিয়ে বাঙালিকে বোঝানো যাবে না।
মহামারি আজ ছড়িয়ে পড়েছে, এটা রাষ্ট্রীয় সমস্যা নয়, এটি বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনাকালীন আমাদের ঘরে থাকার কথা ছিল, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমরা বাইরে ঘোরাফেরা করেছি। আমাদের বোঝা উচিত ছিল পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে অন্যরা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। প্রত্যেক মানুষের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত দেশকে সেবা করা। সবাই মিলে আমরা সরকারের নির্দেশনা মেনে চলব।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিসের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল আকবর খান (কমান্ডার ৪৪ পদাতিক ব্রিগেড), কর্নেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী (এডিএমএস কুমিল্লা), ব্রিগেডিয়ার মো. আদিল চৌধুরী (কমান্ড্যান্ট এসএমআই কুমিল্লা), লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম, চাঁদপুর পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান সার্জন ডা. শাখাওয়াত উল্লাহ, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হাবিব উল করিম, হাজীগঞ্জ পৌর মেয়র আ স ম মাহবুবুল আলম লিপন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী।
এইচকেআর
