ঢাকা সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news

২ কোটি ৩০ লাখ টাকা ভ্যাট দিল গুগল

২ কোটি ৩০ লাখ টাকা ভ্যাট দিল গুগল
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বাংলাদেশ সরকারকে দুই কোটি ২৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকা মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট দিয়েছে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল। ভ্যাট পরিশোধ ও ভ্যাট রিটার্ন জমা দেওয়াসহ সরাসরি ভ্যাট সংক্রান্ত সেবা পেতে গত ২৫ মে বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন) নেয় গুগল।

এরপর আজ বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো প্রতিষ্ঠানটির লোকাল এজেন্টের মাধ্যমে মে মাসের ৫৫ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৪ টাকা এবং জুন মাসের ১ কোটি ৭৩ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩৩ টাকার ভ্যাট রিটার্ন জমা দেওয়া হয়েছে।


বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) ঢাকা দক্ষিণের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ গুগলের মে ও জুন মাসের ভ্যাট রিটার্ন হাতে পেয়েছি। যেখানে দেখা যায় গুগল মে ও জুন মাস মিলিয়ে মোট ২ কোটি ২৯ লাখ ৫৪ হাজার ৫৩৭ টাকা ভ্যাট জমা দিয়েছে।

এর আগে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক নিবন্ধিত অনাবাসী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গত ২৯ জুলাই সবার আগে প্রায় ২ কোটি ৪৪ লাখ ভ্যাট জমা দেয়। যার মধ্যে ফেসবুক আয়ারল্যান্ড লিমিটেড দুই কোটি ৪৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৯৯ টাকা, ফেসবুক পেমেন্টস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ২৪ হাজার ৭০ টাকা এবং ফেসবুক টেকনোলজিস আয়ারল্যান্ড লিমিটেড ২৫ হাজার ৬ টাকা জমা দিয়েছে।

ভ্যাট আইন অনুসারে, ভ্যাট পরিশোধের ক্ষেত্রে স্থানীয় ভ্যাট এজেন্টরা দায়বদ্ধ। ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন পেতে ও ভ্যাট রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য বিদেশি সংস্থাগুলো ২০১৯ সাল থেকে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। তাই ভ্যাট আইন অনুসারে সরাসরি এই সেবা পাওয়ার বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে দাবি ছিল।

‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২’ অনুযায়ী ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানকে মূসক নিবন্ধন নিতে হবে এবং তাদের বাংলাদেশে অফিস স্থাপন অথবা মূসক এজেন্ট নিয়োগ দিতে হবে। ২০২০ সালের প্রথম দিকে এসব প্রতিষ্ঠানকে আলাদা ভ্যাট নিবন্ধন নম্বরের আওতায় আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর।

অন্যদিকে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক বিধিমালা ২০১৬ অনুসারে ভ্যাট নিবন্ধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাস শেষ হওয়ার অনধিক ১৫ দিনের মধ্যে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যথায় সুদ ও জরিমানা আরোপের বিধান রয়েছে। এ কারণে ব্যবসায়ীদের মাসিক ভ্যাট দাখিলপত্র দাখিলে সহায়তা করা এবং দাখিলপত্র গ্রহণের সুবিধার্থে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধকালে দেশের সব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট দফতরগুলো খোলা রয়েছে।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন