তজুমদ্দিনে হাসপাতালে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু


ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অজ্ঞাত একরোগীর মৃত্যু হয়েছে। প্রচন্ড জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় একজন জনপ্রতিনিধি তাকে ভর্তি করলে ৬দিন চিকিৎসাধীন থাকায় অবস্থায় শুক্রবার সকালে মারা জান অজ্ঞাত ওই নারী। তবে তার করোনা টেষ্ট নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজালের।
অজ্ঞান অবস্থায় অজ্ঞাত ওই নারী (৬ আগষ্ট) শুক্রবার সকাল সোয়া ৭ টায় মৃত্যু বরণ করে। অসুস্থ্য ওই নারী রোগীর করোনা টেষ্ট নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজালের। এসব অসহায় রোগীদের চিকিৎসার জন্য সরকার সমাজসেবা অধিদপ্তর উপজেলা পর্যায়ে রোগী কল্যান সমিতির মাধ্যমে অনুদান দিয়ে থাকলেও অজ্ঞাত এই নারীর চিকিৎসার জন্য তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমানের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত নম্বরে একধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেনি এবং সরকারী নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মেম্বার রাজিব হাওলাদার বলেন, অজ্ঞান অবস্থায় অজ্ঞাত এক নারীকে বাদলীপুর পাটওয়ারী বাড়ির দরজায় অসুস্থ্য অবস্থায় পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করি। তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জিয়াউল হক বলেন, অজ্ঞাত নারীর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশের ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
তজুমদ্দিন হাসপাতালের আরএমও ডা. হাসান শরীফ বলেন, গত ৩০ জুলাই দুপুর ১টার সময় অজ্ঞান অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার শরীরের তাপমাত্রা ও হালকা শ্বাসপ্রশাসের গতিটা বেশি ছিলো। তবে তার করোনা উপসর্গ না থাকায় করোনা টেষ্ট করানো হয়নি। তবে করোনা টেষ্ট নিয়ে বিভিন্ন কথা বলছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কবির সোহেল।
তিনি বলেন, অসুস্থ্য অজ্ঞাত ওই নারীর শরীরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থাকায় পিসিআর ল্যাবে নয় হাসপাতালের রেপিড ল্যাবে তার করোনা টেষ্ট করা হয়েছে সেখানে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে। উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম বলেন, হাসপাতালে অজ্ঞাত এক নারী ভর্তির বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তার মৃত্যু খবরটি আমাকে জানানো হয়নি। আমি আপনাদের মাধ্যমেই তার মৃত্যুর সংবাদ পেলাম।
এইচকেআর
