ঢাকা বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • এখন প্রয়োজন জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি: আব্দুল্লাহ তাহের ‘সাংবিধানিক আদেশ’ পেলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ মাধ্যমিকে ৩ শ্রেণির সাড়ে ১২ কোটি বই ছাপানো হবে, ব্যয় ৪৪৫ কোটি চন্দ্রমোহন বিএনপির বহিস্কৃত নেতার সরকারি জমি দখল, আটকে দিলো প্রশাসন ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে নেওয়া হলো সেনানিবাসের অস্থায়ী কারাগারে নির্বাচন নিরপেক্ষ করার জন্য যা দরকার করব, বিএনপিকে প্রধান উপদেষ্টা দলীয় লোক অপসারণ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবি বিএনপির বাড়িভাড়া বাড়ানোয় ‘সন্তুষ্ট’ শিক্ষকরা, আন্দোলন স্থগিত বুধবার থেকে ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষকরা, খোলা থাকবে শনিবারও
  • তারেকের বউ তো কোনো দিন খালেদাকে দেখতে আসলো না : প্রধানমন্ত্রী

    তারেকের বউ তো কোনো দিন খালেদাকে দেখতে আসলো না : প্রধানমন্ত্রী
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশের সব থেকে ব্যয়বহুল হাসপাতালে হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে বাংলাদেশে সব থেকে দামি যে হাসপাতাল, যে হাসপাতাল সব থেকে ব্যয়বহুল, সেখানেই কিন্তু তার চিকিৎসা হচ্ছে।

    বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আওয়ামী যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার (খালেদা জিয়া) ছেলে তারেকের বউ ডাক্তার। শুনেছি সে নাকি অনলাইনে শাশুড়িকে দেখে। কই ছেলে, ছেলের বউ তো কোনো দিন দেখতে আসলো না। অবশ্য কোকোর বউ এসেছে। তারা তো আসে নাই। যাই হোক তবু বিএনপি এত দিন পর একটা সুযোগ পেয়েছে। খালেদা জিয়ার অসুস্থতার এই দাবিতে তারা আন্দোলন করছে। খুব ভালো তারা আন্দোলন করুক। কিন্তু আমার যতটুকু করার ছিল সেটা কিন্তু আমি করেছি।

    এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি অতীত ঘটনা তুলে ধরে বলেন, জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায়- আমাদের সাজেদা চৌধুরীর অপারেশন হয়েছিল। ঘা শুকায়নি। সেই ব্যান্ডেজ অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে জিয়াউর রহমান জেলে ভরেছিল। ঠিক একই অবস্থা মতিয়া চৌধুরীর, তাকেও তখন জেলে দিয়েছিল। তারও তখন টিবি হয়েছিল, অসুস্থ ছিল। তাকেও জেলে দিয়েছিল। এ রকম বহু অন্যায়-অবিচারের কথা আছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারপরও সে যখন অসুস্থ এবং দুর্নীতির দায়ে দোষী- সে দুর্নীতিটা কী? গ্যাটকোর কেস তার বিরুদ্ধে, নাইকোর কেস তার বিরুদ্ধে এবং এটা কিন্তু আমাদের না। আমেরিকার এফবিআই তারা খুঁজে বের করেছে। সিঙ্গাপুরে তার এবং তার ছেলের দুর্নীতি বেরিয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাই বের করেছে। সেই কেইসগুলো তো আছেই। সবচেয়ে বড় কথা এতিমদের জন্য টাকা এসেছিল। সেই এতিমদের টাকা এতিমদের হাতে কোনো দিন পৌঁছায় নাই। সে টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে রেখে দিয়েছে।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজেই খেয়েছে সে টাকা, খালেদা জিয়াই ভোগ করেছে এতিমের অর্থ। কাজেই সেই সাজা পেয়েছে এবং সেই সাজা সে ভোগ করছে। তারপর সে কারাগারে ছিল। খালেদা জিয়ার বড় বোন আর ভাই আমার কাছে এসেছে। বোন, বোনের স্বামী, ভাই এরা সব এসেছিল। আসলো যখন খুব স্বাভাবিকভাবে রেহানাও আমার সঙ্গে উপস্থিত ছিল। একটা মানবিক দিক থেকে আমি তাকে তার বাড়িতে থাকার একটা ব্যবস্থা, আমার অ্যাক্সিকিউটিভ পাওয়ারে আমি যতটুকু করতে পারি অর্থাৎ নির্বাহী যে ক্ষমতাটা আমার আছে সেটার মাধ্যমে আমি তার সাজাটা স্থগিত করে তার বাসায় থাকার অনুমতি এবং চিকিৎসার অনুমতি দিয়েছি।’


    এমবি
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ