ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

Motobad news

এবার চিনি রপ্তানিতে সীমা বেঁধে দিচ্ছে ভারত

এবার চিনি রপ্তানিতে সীমা বেঁধে দিচ্ছে ভারত
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

গম রপ্তানি নিষিদ্ধের পর এবার চিনি রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করতে চলেছে ভারত। স্থানীয় বাজারে দাম কমানোর লক্ষ্যে গত ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবার চিনি রপ্তানি সীমাবদ্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটির সরকার। ভারতের এমন সিদ্ধান্তে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট আরও বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিশ্বের বৃহত্তম চিনি উৎপাদক ভারত, রপ্তানিতে তাদের অবস্থান কেবল ব্রাজিলের পেছনে। ভারত বিশ্বের অন্তত ১২১টি দেশে চিনি রপ্তানি করলেও তাদের প্রধান ক্রেতা ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, সুদান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।


ভারতীয় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার (২৪ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এ বছর দেশটি চিনি রপ্তানির সীমা এক কোটি টন নির্ধারণের পরিকল্পনা নিয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ভারত চিনি রপ্তানির সীমা ৮০ লাখ টন করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। কিন্তু পরে স্থানীয় কারখানাগুলোকে বিশ্ববাজারে আরও কিছু চিনি বিক্রির সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এর পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের উৎপাদন পূর্বাভাস সংশোধন করেছে ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির আগের পূর্বাভাসে চিনি উৎপাদন ৩ কোটি ১০ লাখ টন বলা হয়েছিল। কিন্তু নতুন পূর্বাভাসে সম্ভাব্য উৎপাদন ৩ কোটি ৫৫ লাখ টন বলা হয়েছে।


সরকারি ভর্তুকি ছাড়া ভারতীয় কারখানাগুলো চলতি ২০২১-২২ বিপণনবর্ষে এ পর্যন্ত ৮৫ লাখ টন চিনি রপ্তানির চুক্তি করেছে। এরই মধ্যে প্রায় ৭১ লাখ টন চিনি বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে তারা।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মুম্বাই-ভিত্তিক এক ডিলার বলেছেন, এক কোটি টনের সীমা যথেষ্ট বড়। এতে কারখানা ও সরকার উভয়ই খুশি থাকবে। তিনি জানান, এক কোটি টন রপ্তানির পর আগামী ১ অক্টোবর ২০২২০২৩ মৌসুম শুরুর সময় ভারতে চিনির মজুত দাঁড়াতে পারে মোট ৬০ লাখ টন, যা উৎসব মৌসুমের চাহিদা পূরণ করতে যথেষ্ট।

বাংলাদেশে চিনির চাহিদার সিংহভাগই পূরণ হয় আমদানির মাধ্যমে। রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোতে উৎপাদন কম থাকায় ব্রাজিল, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়া থেকে অপরিশোধিত চিনি আমদানি করে বাংলাদেশ।

সরকারি হিসাবে দেশে বছরে চিনির চাহিদা ১৮ লাখ টন। যদিও চিনি পরিশোধনকারী কোম্পানি ও ব্যবসায়ীরা মনে করেন এ চাহিদা আরও অনেক বেশি। দেশে সবশেষ কয়েক বছর গড়ে ২২ লাখ টনের বেশি চিনি আমদানি হয়েছে। এতে ব্যয় হচ্ছে সাত হাজার কোটি টাকার বেশি। এ অবস্থায় ভারত থেকে চিনি আমদানি কমলে বিকল্প দেশগুলোর ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


এএজে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন