‘জুলাই শহীদদের বৈষম্যহীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে’


বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘জুলাইয়ের চেতনাকে অন্তরে ধারণ করতে হবে। একটি নতুন ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে হবে যেখানে থাকবে না চাঁদাবাজি ও বৈষম্য।’
শনিবার বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ‘জুলাইয়ের মায়েরা’ শীর্ষক অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে আয়োজিত এই সমাবেশে তিনি আরও বলেন, যাদের সন্তান হারিয়েছেন, তারাই জানেন সেই বেদনার গভীরতা কতটা। বৈষম্যহীন একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে জুলাইয়ের শহীদরা প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। সেই আত্মত্যাগ তখনই সার্থক হবে, যখন দেশে থাকবে না চাঁদাবাজি, মাদক, ইভটিজিং, নারী নির্যাতন বা অন্য কোনো সামাজিক ব্যাধি। দেশ হবে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী।
তিনি বলেন, যদি আমরা সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে না পারি, তবে শহীদদের পরিবার আজীবন বেদনায় থাকবে। তাদের সন্তানরা হয়তো বড় হয়ে ডাক্তার, প্রকৌশলী, ফুটবলার বা একজন আদর্শ রাজনীতিবিদ হতে পারতেন, কিন্তু তারা দেশের জন্য নিজের জীবন দিয়েছেন। এই আত্মত্যাগ কখনোই বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে আদর্শ নাগরিক হিসেবে। এর জন্য রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়েরও উন্নয়ন প্রয়োজন। তরুণদের শিক্ষায় মনোযোগী হতে হবে, মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটাতে হবে এবং নিজেদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে হবে। তাহলেই নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ের চেতনা আমাদের পথ দেখায়। রাষ্ট্র গঠনের দায়িত্ব যাদের উপর, তাদের যত বাধা আসুক, পিছু হটা চলবে না। জুলাই শহীদরা যে দুর্নীতিমুক্ত, স্বৈরাচারমুক্ত, বৈষম্যহীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশালের পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দীন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মেহেরুন নাহার মুন্নি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ। আলোচনাসভা শেষে ‘জুলাইয়ের মায়েরা’ শীর্ষক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এইচকেআর
