ঢাকা শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫

Motobad news
১২তম দিনে ‘বরিশাল ব্লকেড’

স্বাস্থ্যখাতের সংস্কার দাবিতে সড়কেই জুমার নামাজ আদায়

স্বাস্থ্যখাতের সংস্কার দাবিতে সড়কেই জুমার নামাজ আদায়
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

স্বাস্থ্যখাতের সংস্কারের দাবি আদায়ের দ্বাদশতম দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনকর্মীরা। শুক্রবার (৮ আগস্ট) বেলা ১১টায় বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে করে বরিশাল শহর ও মহাসড়কে সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।


আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ ও কনটেন্ট ক্রিয়েটররা যোগ দিয়েছেন। তারা স্বাস্থ্যখাত সস্কারের বিভিন্ন স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করছেন।

সাব্বির হোসেন নামে এক আন্দোলনকর্মী বলেন, সরকারি হাসপাতালে সাধারণ মানুষ নূন্যতম চিকিৎসা পাচ্ছে না। মানুষ গেলে তাদের নানান উপায়ে হয়রানি করা হয়। ডাক্তাররা স্লিপ ধরিয়ে দেন যেন তাদের পরিচালিত ক্লিনিকে রোগীরা যান। হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম অকেজো করে রাখা হয়। অ্যাম্বুলেন্স সেবা পান না। অথচ হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মচারীদের বেতন হয় জনগণের টাকায়। পুরো হাসপাতাল চলে জনগণের টাকায়, অথচ সেখানে জনগণ সেবা পান না।

তিনি আরও বলেন, আমরা অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কোনো আশ্বাসে নয় জনগণের সুচিকিৎসা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।


আরেক আন্দোলনকর্মী ফয়সাল হোসেন বলেন, আন্দোলনের কারণে কিছুটা দুর্ভোগ হচ্ছে। আমরা জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। এই আন্দোলন শুধু আমাদের জন্য না এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য। আমাদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। এই দাবির সঙ্গে সাধারণ মানুষ একাত্মতা প্রকাশ করেছে।

সংগঠক মহিউদ্দিন রণি বলেন, কোনো আশ্বাসে কাজ হবে না, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নিজে এসে চিকিৎসা খাতের সমস্যার সমাধান করতে হবে। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাউকে হেলাফেলা করতে দেওয়া হবে না। যতক্ষণে আমাদের দাবি আদায় না হবে স্বাস্থ্যখাতের সংস্কার না হবে ততক্ষণে আমরা রাজপথ ছাড়বো না।


আন্দোলনকর্মীরা নথুল্লাবাদ মহাসড়কেই জুমার নামাজ আদায় করেন। এর আগে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এবং পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনকর্মীদের সঙ্গে কথা বলা হয়। তবে আন্দোলকর্মীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দেন।

মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন সিকদার বলেন, নথুল্লাবাদ এলাকায় যেন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য আমরা উপস্থিত রয়েছি। জনদুর্ভোগের বিষয়টি আন্দোলনকর্মীদের বিবেচনা করার অনুরোধ করেছি।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন