ভোলায় নদীভাঙন রোধে পদক্ষেপের দাবিতে পাউবো কার্যালয় ঘেরাও


ভোলায় মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে পদক্ষেপের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোলা শহরের যুগীরঘোল এলাকায় পাউবো কার্যালয়ের সামনে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ও দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা এ বিক্ষোভ করেন।
জানা যায়, সকাল ১০টা থেকে ওই দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা জড়ো হয়ে প্রথমে পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। পরে তারা সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয় ঘেরাও করেন তারা। এসময় কার্যালয়ের গেটে পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে স্থানীয়রা পানি উন্নয়ন বোর্ড চত্ত্বরে প্রবেশ করেন। তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দীন আরিফের কাছে স্মারকলিপি দেন। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তারা। অবরোধের পলে প্রায় এক ঘণ্টা সড়কে বন্ধ থাকে সব ধরনের যানবাহন চলাচল।
শিবপুর ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এ কে এম নুর হোসেন জানান, দীর্ঘদিন মেঘনা নদীর ভাঙন চললেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমিকা নেই। তারা কিছুদিন আগে অল্প কিছু জিও ব্যাগ ফেলেছে। এতে কোনো লাভ হচ্ছে না। ওই ব্যাগ স্রোতে নিয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাগ ফেলে ভাঙন বন্ধ হবে না। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই।
ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা ইয়াছিন আরাফাত সোহাগ জানান, প্রতিদিনই মেঘনার ভাঙনে বসতঘর, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। জিওব্যাগ ফেলে এই ভাঙন বন্ধ করা সম্ভব নয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সিসি ব্লক দ্বারা স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি করছি কিন্তু কোনো ফল আসছে না। তাই আমরা দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা এক হয়ে আজ এই কর্মসূচি পালন করেছি। আগামীতে আরও বেশি কর্মসূচি পালন করবো।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দীন আরিফ বলেন, শিবপুর ও মেদুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা বিক্ষোভ করেছেন। আমার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমি তাদের আশ্বাস দিয়েছি, একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সিসি ব্লক দিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। ওই প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। পরে তারা আমার আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এইচকেআর
