ঢাকা শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news

সমঝোতার পথে জাপানি নারী ও ইমরান শরীফ

সমঝোতার পথে জাপানি নারী ও ইমরান শরীফ
ফাইল ছবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় নিয়ে সমঝোতায় আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানি নারী মা এরিকো ও বাবা ইমরান শরীফ। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সন্তানদের ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো।

রিটে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এরিকোর দুই সন্তানসহ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক শরীফ ইমরান ও তার বোনকে (ফুফু) সশরীরে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এক মাসের জন্য শরীফ ইমরান ও দুই শিশুর বাংলাদেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এরপর গত ২২ আগস্ট পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) স্বামী ইমরান শরীফের কাছে থাকা দুই মেয়েকে উদ্ধার করে। পরে তাদের আদালতের নির্দেশে তেজগাঁওয়ের উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়। একই সঙ্গে বাবা-মাকে সমঝোতায় আনতে স্ব স্ব আইনজীবীদের নির্দেশ আদালত।


সমোঝাতার বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে তেজগাঁওয়ে ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের সামনে দুই পক্ষ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সে সময়ে তারা এ সমঝোতার কথা জানান।

সমঝোতার বিষয়ে এরিকো বলেন, সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য সমঝোতায় রাজি হয়েছি। বাচ্চাদের দেখে এলাম, তাদের হাস্যোজ্জ্বল দেখেছি। নিজ হাতে তাদের গোসল করিয়েছি। আমি সত্যিই গর্বিত এখানকার যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত তারা অনেক আন্তরিক। ভিকটিম সেন্টারের পরিবেশ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, যদিও এটি কোনো পাঁচতারকা হোটেল নয়, তারপরও পরিবেশ সুন্দর এবং নিরাপদ।

এ বিষয়ে বাবা ইমরান শরীফ বলেন, এখানে (উইমেট সাপোর্ট সেন্টার) বাচ্চারা ঠিকমত খেতে পারছে না। সন্তানদের ভবিষ্যতের বিবেচনায় যেকোনো ভালো সিদ্ধান্তের জন্য সমঝোতায় বসতে রাজি আছি। সমঝোতার পর ফলাফল কী দাঁড়ায় তার ওপর পরবর্তী বিষয়গুলো জড়িত রয়েছে। আমি প্রাণপণ চেষ্টা করবো আমার বাচ্চাগুলো যেন ভালো থাকে।

তিনি বলেন, ভিকটিম সেন্টারে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছেন তারা অত্যন্ত আন্তরিক। তবে তাদের মন খারাপ। তারা ডিপ্রেশন এ রয়েছে। ১০-১২ বছরের দুজন বাচ্চার আশপাশে যারা আছে সবাই অপরিচিত কেমন থাকতে পারে আপনারাই বলুন। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে যদি হোটেলে স্থানান্তর করা যায় তাহলে সন্তানদের পাশাপাশি মা-বাবা আলাদা আলাদা রুমে পাশাপাশি থাকতে পারবে ফলে তারা মানসিক শান্তি পাবে বলে আমি মনে করি।


এইচেকআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন