ঢাকা সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

Motobad news

আমতলীতে ব্রীজে বাঁশের সাঁকো: ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন 

আমতলীতে ব্রীজে বাঁশের সাঁকো: ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরগুনার আমতলীতে ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ার এক বছরেও মেরমত  হয়নি। চাওড়া নদীর ওপর নির্মিত আমড়াগাছিয়া বাজার সংলগ্ন ব্রীজটি। স্থাণীয়রা স্বেচ্ছা শ্রমে  নিজেদের অর্থ ব্যয় করে ব্রীজের ভাঙ্গা অংশে  বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিন ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ চলাচল করতো ।বৃহস্পতিবার সকালে ব্রীজের উপর দেয়া বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে  পড়ে যায় নদীতে  যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অর্ধলক্ষাধিক মানুষের। 

জানাগেছে, ২০০৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ চাওড়া নদীতে আমড়াগাছিয়া বাজারের সংলগ্ন স্থানে আয়রণ ব্রিজ নির্মাণ করে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করায় ব্রিজটি নড়বড়ে ছিল। ২০১৬ সালে ব্রিজটির মাঝখানের অংশ ভেঙ্গে পড়ে। ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ায় চাওড়া, কুকুয়া এবং গুলিশাখালী ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে যায়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ তাৎক্ষনিক ওই ব্রিজের ভাঙ্গা অংশ মেরামত করে। মেরামত করার পরে ওই ব্রিজ দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। কিন্তু প্রকৌশল বিভাগের নিষেধ উপক্ষো করে ট্রাক ও ট্রলির মালিকরা ওই ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল করে।  ২০২০ সালের ১০ জুন ইট বোঝাই ট্রলি পারাপারের সময় ব্রিজের মাঝের অংশ ভেঙ্গে ট্রলিটি নদীতে পড়ে যায়।এতে দুর্ভোগে পরে তিন ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।ব্রিজ পার হয়ে আমড়াগাছিয়া বাজার, গোজখালী বাজার, গুলিশাখালী বাজার, কলাগাছিয়া বাজার ও আমতলী উপজেলা শহরে কৃষি পন্য আনা নেয়া ও মানুষ যাতায়াত করতে হয়।

 এছাড়া খেকুয়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাইনবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গোজখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়. গোছখালী মাজার শরীফসহ  বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের  শিক্ষার্থীরা ওই ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করে। এক বছর ধরে স্থানীয়রা বাঁশের সাকো দিয়ে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে।  

সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, ব্রীজের মধ্যেভাগের অংশে বাঁশের সাঁকোটি বৃহস্পতিবার ভেঙ্গে পরেগেছে।স্থানীয় সজিব আহমেদ  বলেন, চাওড়া নদীর ওপরে আমড়াগাছিয়া ব্রীজ দিয়ে তিনটি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াত করতো। ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ায় বাঁশের সাকো দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে তিনটি ইউনিয়নের মানুষ পারাপার হচ্ছে। 

 গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, ব্রিজে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনটি ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক  মানুষ পারাপার হতো।  

আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন মুঠোফোনে  বলেন, ওইখানে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণের প্রস্তাব স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় পাঠানো আছে। অনুমোদন হলে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ করা হবে।
 


এইচেকআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন