গ্রামে করোনা রোগীর খোঁজ রাখতে বললেন স্বাস্থ্যের ডিজি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বর্ষার মৌসুম করোনা আক্রান্ত হলেও সাধারণ সর্দি-জ্বর ভেবে অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছে না। এজন্য মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে মাইকিং করার পরামর্শ দিয়েছি। বাড়ি বাড়ি রোগীর খোঁজ রাখতে বলেছি। কারণ করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
রংপুরে সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে চার দিনের সফরে রংপুর বিভাগ পরিদর্শনে আসেন স্বাস্থ্যের ডিজি। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) নীলফামারীতে হাসপাতাল পরিদর্শনে এসব কথা বলেন তিনি।
রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলো পরিদর্শন শুরু করেছেন স্বাস্থ্যের ডিজি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি ঢাকা থেকে নীলফামারী আসেন। রাতেই নীলফামারীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি।
শুক্রবার সকালে তিনি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ পরিদর্শনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, পরিচালক (সিডিসি) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান, ডিডি ডা. জসীমউদ্দিন, ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. মইনুল আহসান বাপ্পি ও নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর কবির প্রমুখ।
খুরশীদ আলম বলেন, করোনা সংক্রমণ যেন না বাড়ে, সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আমরা প্রথম ঢেউ অতিক্রম শেষে এখন দ্বিতীয় ঢেউ অতিক্রম করছি। এটি সামাল দিতে সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরলসভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশের সব নাগরিককে টিকা দিতে সরকার টিকা আমদানি অব্যাহত রেখেছে। এখন ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরাও করোনার টিকা নিতে পারবেন। করোনার টিকা নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। আর যারা সরকারি নির্দেশনা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এইচেকআর