বলাৎকারে ব্যর্থ হয়ে ৮ বছরের শিশুকে পাষবিক নির্যাতন, হাফেজ শিক্ষক গ্রেফতার
বরিশালে ৮ বছরের এক শিশুকে বলাৎকারে ব্যর্থ হয়ে পাষবিক নির্যাতন করেছে একটি মাদ্রাসার হাফেজ শিক্ষক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে এয়ারপোর্ট থানা। ওদিকে নির্যাতিত শিশুকে চিকিৎসার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করানোর পর বিভিন্ন সময়ে শিশুটিকে নির্যাতন করা হতো। সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) রাতে শিশুটির সাথে যৌন কামনা চরিতার্থ করতে মারধর করে, পশ্চাৎদেশে কামড় দিয়েছে। এছাড়া নির্যাতনে শিশুটি মলত্যাগ করে দিলে সেই মল ওই শিক্ষক শিশুটিকে দিয়ে চাটান বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া শিশুটিকে পানিতে চুবানো হয়। পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
জানা গেছে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডের ডেফুলিয়া এলাকার বাসিন্দা রাজমিস্ত্রীর ৮ বছর বয়সী ছেলেকে ঈদুর আজহার পরে পাশের গ্রাম পূর্ব ধর্মাদী জামেউল উলুম মাদ্রাসায় হাফেজি শিক্ষার জন্য ভর্তি করান। সেখানে হাফেজি শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানা এলাকার জাগুয়া ইউনিয়নের আব্দুস সালামের পুত্র জোবায়ের আহম্মেদ।
ওই শিশুর পিতা বলেন, এর আগেও আমার ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছিল। কিন্তু তা বলেনি। তবে বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) আমি মাদ্রাসায় খাবার দিতে আসলে আমার ছেলে জানায় তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১১টার পরে আমার ছেলেকে হাফেজ শিক্ষক জোবায়ের আহম্মেদ ঘুম ভাঙিয়ে বলাৎকার করার চেষ্টা করে। আমার ছেলে অস্বীকার করলে তার পশ্চাৎদেশে দুটি কামড় দেয়। পিটিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে গ্যাস সিলিন্ডার পেটের উপর রেখে নির্যাতন করে। এতে ছেলে মলত্যাগ করে দিলে সেই মল হাতে দিয়ে চাটায় হাফেজ শিক্ষক জোবায়ের আহম্মেদ।
এ ঘটনা বৃহস্পতিবার আমি জানতে পারলে মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুস সালামকে জানালে জোবায়ের ক্ষিপ্ত হয়ে ওই রাতে আরো নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে খবর পেয়ে এসে শুক্রবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি।
এ বিষয়ে রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের ৪,৫,৬ সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার খাদিজা বেগম বলেন, জানতে পেরে আমি শনিবারই ঘটনাস্থলে আসি। এসে পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ বলাৎকার চেষ্টাকারীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। এই ঘটনার আমি দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। যেন আর কেউ এমন ঘটনা না ঘটায়। এই বিচারের মাধ্যমে যেন অন্যদের শিক্ষা হয়
এইচেকআর