বাকেরগঞ্জে ভোট কেন্দ্র নিয়ে ষড়যন্ত্র, নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি

বাকেরগঞ্জ উপজেলা দুর্গাপাশা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ ৪৮নং লক্ষীবর্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ডিজেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রটি বাতিল করে নদী ভাঙন কবলিত ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় নেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। যেখানে নেই বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ এবং উন্নত সড়ক যোগাযোগের ব্যবস্থা। আবার যে কোন সময় মাদ্রাসাটি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। এ কারণে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করে পূর্বের কেন্দ্রটি বহাল রাখতে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় ভোটাররা অভিযোগ করেছেন, ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মাসুদ ভোট কেন্দ্রটি তার তার বাড়ির পাশে স্থানান্তরের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। নির্বাচনে অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তিনি বিভিন্নমহলে লবিং-তদবির করছেন-এমন অভিযোগ তাদের।
জানা গেছে, গত ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর দুদিন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বর্তমান এবং স্থানান্তরের জন্য প্রস্তাবিত দুটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। দুটি কেন্দ্রের মধ্যে বর্তমান ডিজেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও লক্ষীবর্ধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রই তার কাছে পরিবেশসম্মত বলে মনে হয়েছে। তাছাড়া পরিদর্শনকালে স্থানীয়রা ভোট কেন্দ্রটি স্থানান্তর না করার জন্য অনুরোধ জানান তার কাছে। এমনকি কেন্দ্র পরিবর্তন করা হলে মানববন্ধন সহ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের হুমকিও দিয়েছেন এলাকার ভোটাররা। এসময় কেন্দ্রটি স্থানান্তর করা হবে না বলে স্থানীয়দের প্রতিশ্রুতি দেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
অপরদিকে, ভোট কেন্দ্র স্থানান্তর না করার দাবি জানিয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটররা নির্বাচন কমিশনার, জেলা এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হানিফ তালুকদার বলেন, ‘ভোট কেন্দ্র নিয়ে ষড়যন্ত্রের বিষয়টি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম চুন্নু, পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমাস হোসেন ডাকুয়াকে অবহিত করেছি। তারা জানিয়েছেন, ডিজেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও লক্ষীবর্ধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই ভোট কেন্দ্র থাকবে।
স্থানীয় ইউনিয়ন জাতীয়পার্টির সভাপতি শাহজাহান হাওলাদার বলেন, ‘জনগণ যেখানে দাবি করবে, তাদের যেখানে সুবিধা হবে সেখানেই ভোট কেন্দ্র নির্ধারণ করা উচিৎ। কারোর ব্যক্তিগত সুবিধার কথা না ভেবে নির্বাচন কর্মকর্তাদের উচিত হবে জনগণের মতামতের ওপর গুরুত্ব দেয়া।
এমবি