ঢাকা বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জে ডে খানের সাথে মজিবর রহমান সরোয়ারের সৌজন্য সাক্ষাৎ  বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব নুরুল হুদা ফয়েজীর ইন্তেকাল যারা জুলাই বিপ্লব মানবেন না, তাদের জন্য ২৬ সালে কোনো নির্বাচন নাই আগৈলঝাড়ায় প্রতারণা মামলায় পিতা-পুত্র গ্রেফতার দৌলতখানে একসেলারেটেড এডুকেশন মডেল বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা  চরফ্যাশন লঞ্চঘাটে অতিরিক্ত টোল আদায়, যাত্রীদের ক্ষোভ ৫ দফা দাবিতে পায়ে হেঁটে ঢাকার উদ্দেশ্য লংমার্চে শিক্ষার্থীরা  আইনজীবীদের নিয়ে কটূক্তি, সাবেক এমপি ফরহাদের বিরুদ্ধে মামলা  কাউখালীতে ইউপি সদস্য গ্রেফতার ৩ বরিশালে ট্রলারের ধাক্কায় ব্রিজ ভেঙে খালে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
  • সবজি চারার চাহিদা কম, লোকসানে চাষিরা

    সবজি চারার চাহিদা কম, লোকসানে চাষিরা
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    বছরের পর বছর ধরে ভাসমান ক্ষেতে সবজি চারা উৎপাদন করছেন বরিশাল ও পিরোজপুরের কৃষকরা। তবে এবার মহামারি করোনা ও বন্যার কারণে চারার বাজারে চলছে মন্দা।

    চাষি পর্যায়ে ভালো দর না পাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। যদিও পাইকাররা বলছেন, ফসলি জমিসহ দেশের নিম্নাঞ্চলগুলো থেকে পানি সরে গেলে বাজার ঘুরতে পারে।

    বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নের উমারের পাড় গ্রাম থেকে লাউ, মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চারা কিনে থাকেন পাইকার মো. শহিদ।


    তিনি বলেন, পুরো বিশারকান্দি ও পিরোজপুরের নাজিরপুর এলাকার ফসলি জমি বর্ষায় পানির নিচে ডুবে থাকে। এ সময় জলজ উদ্ভিদ অর্থাৎ শ্যাওলা, কচুরিপানা দিয়ে ভাসমান ক্ষেত তৈরি করেন কৃষকরা। এভাবেই ডুবে থাকা ফসলি জমির ওপর সবজি চারা উৎপাদন করা হয়ে থাকে।

    তিনি আরও বলেন, এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণ সবজি চারা উৎপাদন করা হয়। উৎপাদিত চারা বরিশালের বিভিন্ন এলাকাসহ পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, চাঁদপুর, বাগেরহাট ও চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করা হয়। তবে এবার বন্যার কারণে এসব অঞ্চলে সবজি চারার বাজারে মন্দা চলছে। সেইসঙ্গে মহামারি করোনায় ক্রেতাদের সংখ্যাও কমে গেছে। বিগত বছরের তুলনায় চারার দর কম। ফলে লোকসানের আশঙ্কায় গত দুই দিন ধরে তিনিও চাষি থেকে চারা কিনছেন না।

    মো. শহিদ জানান, গত বছর বিভিন্ন সবজির চারা ৮-১০ টাকায় বিক্রি হলেও এবার তা ৩-৫ টাকায়  বিক্রি করতে হচ্ছে।

    আরেক পাইকার আ. খালেক জানান, খুচরো বাজারে চাহিদা কম থাকায় এবার  চারার দর কম। তাই চাষিদের ভালো দর দিতে পারছেন না তিনি। এভাবে উৎপাদিত চারা তিন-চারদিনের বেশি টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। ফলে ক্রেতার আগ্রহ বুঝে চাষিদের কাছ থেকে চারা  সংগ্রহের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। তার মতে খুচরো বাজারে চারার চাহিদা বাড়লে চাষি পর্যায়ে ভালো দর পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

    অন্যদিকে চাহিদা কম থাকায় যে দর পাচ্ছেন তাতেই বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম উমারের পাড় গ্রামের চাষি সেলিম হাওলাদার।


    তিনি বলেন, গতবার লাউ, শিম, বেগুন, পেঁপে, কুমড়া, করলা, শসা, বরবটি, টমেটো, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, কাঁচা ও বোম্বাই মরিচের চারা শতপ্রতি ৩-৫‘শ টাকায় বিক্রি করেছেন। এবারে তা কমে অর্ধেকের কাছাকাছি গিয়ে ঠেকেছে।

    তুলাতলা এলাকার কৃষক শামসুল হক বলেন, করোনার কারণে এবার বিশারকান্দিতে স্থানীয় পাইকার ছাড়া দূরের পাইকারদের তেমন দেখা যাচ্ছে না। দূরের পাইকার না থাকায় বাজার স্থানীয় পাইকারদের নিয়ন্ত্রণে। ফলে লোকসান ঠেকাতে তারা যে দর দিচ্ছেন তাতেই চারা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা।

    অন্যদিকে রাসেল নামে এক কৃষক জানান, মৌসুমে একটি ক্ষেত থেকে ৩-৫ বার চারা উৎপাদনের চেষ্টা করেন কৃষকরা। সেক্ষেত্রে ভাসমান ক্ষেতে নির্ধারিত সময়ের পর চারাগাছ রাখা বিপদ।
     


    এসএম
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ