বরিশাল বিভাগে একদিনে একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮৮

বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ভোলা সদর হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিভাগের অন্য কোন হাসপাতালে করোনা উপসর্গ বা করোনা আক্রান্ত কেউ মৃত্যুবরণ করেননি। এ সময়ে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৮৮ জনের। আরটিপিসিআর ল্যাবে শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। সুস্থ হয়েছেন ২৯৭ জন। যা ২৪ ঘন্টায় শনাক্তের প্রায় তিনগুন।
সোমবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রমণ তথ্যে গত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল জেলায় শনাক্ত হয়েছে ২৮ জন। এ পর্যন্ত এই জেলায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ২ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ১৮২ জন। এই জেলায় মোট মারা গেছেন ২২২ জন।
পটুয়াখালীতে নতুন শনাক্ত হয়েছে ১১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১২৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৮৭৫ জন। এই জেলায় মোট মারা গেছেন ১০৭ জন।
ভোলায় নতুন ২৭ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হলেন ৬ হাজার ৬১৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৬৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু নিয়ে মোট মারা গেছেন ৮৯ জন।
পিরোজপুরে নতুন ৫ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১৭৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৯৪১ জন। এই জেলায় মোট মারা গেছেন ৮৩ জন।
বরগুনায় নতুন ৮ জন শনাক্ত নিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৬২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৫০২ জন। এই জেলায় মোট মারা গেছেন ৯৫ জন।
ঝালকাঠিতে নতুন ৯ জন শনাক্ত নিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫৬৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ১২৩ জন। এই জেলায় মোট মারা গেছেন ৬৯ জন।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের তথ্য সংরক্ষক জাকারিয়া খান স্বপন জানান, বিগত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের আইসোলেশনে ৪ জন ভর্তি হন। হাসপাতালে ৬৯ জন চিকিৎসাধীন রোগী আছেন। যার মধ্যে ৩৮ জনের করোনা পজেটিভ, ৩১ জন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় ১২৯ জনের নমুনা আরটি পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করানো হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬ জন পজিটিভ ও ৯০ জন করোনা নেগেটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় ২০২০ সালের ৯ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সেই থেকে সোমবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভাগের ছয় জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৪৪ হাজার ২৫৪ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৬৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪০ হাজার ৬৯২ জন।
এসএমএইচ