শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে সাবেক সেনা সদস্য গ্রেপ্তার

পঞ্চগড়ে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে এক সাবেক সেনাসদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত তমিজ উদ্দিন (৫৭) সাবেক সেনাসদস্য। তার বাড়ি তেতুঁলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভূতিপুকুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত বজলার রহমান ওরফে কালুর ছেলে। তবে তমিজউদ্দিন পঞ্চগড় পৌরসভা এলাকার কায়েতপাড়ায় বসবাস করছিল।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে তার গ্রামের বাড়ি থেকে তমিজউদ্দিন কে তেতুঁলিয়া থানা পুলিশের সহযোগীতায় সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে সোমবার আদালতের মাধ্যমে ওই সেনাসদস্যকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
বলাৎকার হওয়া ছাত্রের বাবা কাউছার আলম জানান, তমিজউদ্দিন আমার পূর্বপরিচিত। রোববার রাত আটটার দিকে আমার জুতার দোকানে জুতা ক্রয় করতে আসে। এ সময় তার সাথে পারিবারিক বিষয়ে আলোচনার সময় আমি আমার ছেলে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়াশুনা করার কথা বলেছি। আমি ছেলেকে ক্যাডেটে ভর্তি করতে আগ্রহী, এই কথা বলার পর তমিজউদ্দিন বলে আমার দুটো মেয়েকে ক্যাডেটে পড়ালেখা শিখিয়েছি। এজন্য আমার ছেলেকে দেখতে আগ্রহী হলে আমি বাসা থেকে ছেলেকে দোকানে নিয়ে আসি।তমিজউদ্দিন আমার ছেলেকে দেখে বলে তোমার ছেলে মোটা এজন্য ব্যায়াম শিখাতে হবে বলে উপদেশ দেয়। এ সময় ছেলেকে সাথে নিয়ে রাতেই আমার বাসায় যায় তমিজউদ্দিন। বাসায় আমার স্ত্রী না থাকায় সেই সুযোগে আমার ছেলেকে বলাৎকার করে। রাত ১০ টার দিকে আমার স্ত্রী বাসায় এসে দেখতে পায় ছেলে কান্না করছে। ছেলে আমার স্ত্রীকে জানান তমিজউদ্দিন জোরপূর্বক তাকে বলাৎকার করেছেন। পরে আমার ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ফারুক ফিরোজ জানান, তমিজউদ্দিনের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে আদালতে। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা জানান ওই ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পর তেতুঁলিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় সাবেক সেনাসদস্য তমিজউদ্দিনকে ভূতিপুকুর এলাকা থেকে আটক করা হয়। সোমবার দুপুরে বলাৎকারের অভিযোগ এনে তমিজউদ্দিন কে আসামী করে ছাত্রের বাবা কাউছার আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে । মামলা দায়েরের পর তমিজউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রকে বলাৎকারের কথা স্বীকার করেন ।
এমবি