কাঠের গুড়া, ভুষি দিয়েই তৈরি হত মশলা !

কিশোরগঞ্জে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর খাবারের মসলা উৎপাদন ও বাজারজাত করার অভিযোগে 'গ্রাম বাংলা মসলা মিল'কে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। র্যাবের সহযোগিতায় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভেজাল বিরোধী এ অভিযান পরিচালনা করে। ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক অভিযুক্ত মসলা মিলের মালিক মো. রুবেল মিয়াকে এ আর্থিক জরিমানা করেন।
আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের বড়বাগ গ্রামে সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অভিযানে বিপুল পরিমান ভেজাল মসলা, কাঠের গুঁড়া, ভুষি, পাউডার, ক্ষতিকর রঙ, পঁচা মরিচ, হলুদ ও ধনিয়া জব্দ করা হয়। মিলের মালিক রুবেল মিয়া বড়বাগ গ্রামের রহমত আলীর ছেলে।
কিশোরগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক জানান, মিল মালিক মসলা তৈরিতে পঁচা ও নিম্নমানের মরিচ, হলুদ ও ধনিয়া ব্যবহার করতেন। তাও পরিমাণে খুব কম। সঙ্গে মেশানো হতো ভুষি, পাউডার, কাঠের গুড়া, কাপড়ে ব্যবহারের ক্ষতিকর রঙ ও আগাছা। আর এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে তিনি মসলা উৎপাদন করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বাজারজাত করতেন। এগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি।
র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের উপ-পরিচালক এম শোভন খান বলেন, মসলা মিলে অভিযান চালিয়ে দেড় হাজার কেজি ভেজাল মসলা, ১০০ কেজি ক্ষতিকর (ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল) রঙ, ৮০ কেজি কাঠের গুঁড়া, ৪৫০ কেজি পঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ধরণের উপকরণ জব্দ করে এবং পরে এগুলো ধ্বংস করা হয়।
মিল মালিক রুবেল মিয়া গত তিন মাস ধরে ভেজাল মসলা উৎপাদন করে আসছিলেন বলে স্বীকার করেন। তিনি ভবিষ্যতে এ ধরণের ভেজাল মসলা আর উৎপাদন করবে না বলে অঙ্গীকার করেন।
এমবি