আনোয়ারায় আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে চুরি, ধরাছোঁয়ার বাইরে শক্তিশালী চোরচক্র

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে প্রতিরাতে চুরি হচ্ছে গরু-ছাগল, খামারবাড়ি, মোটরসাইকেল, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র। চুরি হওয়ার বিষয় নিয়ে থানায় অভিযোগ অথবা জিডি করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না বলে জানান ভুক্তভোগীরা। এনিয়ে স্থানীয় জনগণের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অনেকের জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাওয়ার পরেও থানায় অভিযোগও করছে না ভুক্তভোগীরা কারণ থানায় অভিযোগ করেও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
মুহাম্মদপুর গ্রামের ভুক্তভোগী আবুল ফয়েজ জানান, আমার একটি অটোরিকশা চুরি হয়ে যাওয়ার পর থানায় অভিযোগ করেও কোন ধরণের সহযোগীতা পায়নি। বৈরাগ গ্রামের মোহাম্মদ আইয়ুব জানান, ঋণ করে একটা অটো রিকশা নিয়ে সংসার চালাচ্ছিলাম। কিছুদিন আগে যোহরের নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদের সামনে গাড়ি রেখে নামাজ পড়ে এসে দেখি গাড়ি নেই। এনিয়ে কোন অভিযোগও করি নাই কারণ এর আগে চুরি হওয়া কোন জিনিস এখনো প্রশাসন রেব করে দিতে পারে নাই। গত কয়েক মাসে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে গরু, গাড়ি, অটোরিকশা, খামারবাড়িসহ চুরি হচ্ছে কোনো না কোন জিনিস। এর থেকে প্রতিকার পেতে গত সপ্তাহে গুয়াপঞ্চক এলাকার লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দারস্থ হয়েছিল। ইউএনও বিষয়টি নিয়ে অফিসার ইনচার্জকে তদারকি করার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরও প্রতিরাতে কোনো না কোন ইউনিয়ন থেকে চুরি হচ্ছে বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র।
এ বিষয়ে আনোয়ারা সচেতন নাগরিকরা মনে করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুরুত্ব সহকারে আমলে না নিলে আনোয়ারায় চোর সিন্ডিকেন্ড বেপরোয়া হয়ে যাবে। তখন তাদের নিয়ন্ত্রণে কষ্টকর হবে। এ ব্যাপারে আনোয়ারা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল নুর চৌধুরী বলেন, আনোয়ারায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনে দিনে অবনিত হচ্ছে তার প্রমাণ প্রতিটি ইউনিয়নে এই সমস্ত চুরি হওয়া জিনিস উদ্ধার করতে না পারা অথবা চোর সিন্ডিকেন্ডের সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে না পারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির বলেন, খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এস,এম সালাহউদ্দিন/ এমবি
এমবি