ঢাকা বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জে ডে খানের সাথে মজিবর রহমান সরোয়ারের সৌজন্য সাক্ষাৎ  বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব নুরুল হুদা ফয়েজীর ইন্তেকাল যারা জুলাই বিপ্লব মানবেন না, তাদের জন্য ২৬ সালে কোনো নির্বাচন নাই আগৈলঝাড়ায় প্রতারণা মামলায় পিতা-পুত্র গ্রেফতার দৌলতখানে একসেলারেটেড এডুকেশন মডেল বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা  চরফ্যাশন লঞ্চঘাটে অতিরিক্ত টোল আদায়, যাত্রীদের ক্ষোভ ৫ দফা দাবিতে পায়ে হেঁটে ঢাকার উদ্দেশ্য লংমার্চে শিক্ষার্থীরা  আইনজীবীদের নিয়ে কটূক্তি, সাবেক এমপি ফরহাদের বিরুদ্ধে মামলা  কাউখালীতে ইউপি সদস্য গ্রেফতার ৩ বরিশালে ট্রলারের ধাক্কায় ব্রিজ ভেঙে খালে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
  • দুই পুলিশ গ্রেপ্তার, ঠাঁই হলো কারাগারে

     দুই পুলিশ গ্রেপ্তার, ঠাঁই হলো কারাগারে
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানার দুই পুলিশ সদস্য ও তাদের দুই সোর্সেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হলে, আদালত কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন । তাদের বিরুদ্ধে মাদক দিয়ে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করার মামলা রয়েছে।

    গতকাল শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) গ্রেপ্তার করা হয় ওই দুই পুলিশ সদস্যকে। তারা হলেন- শেরেবাংলা নগর থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলী ভুইয়া ও সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান। আজ রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।

    জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান মন্ডল। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি শুনানি শেষে রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


    গতকাল শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুই পুলিশের বিরুদ্ধে নিজেদের কর্মস্থল শেরেবাংলা নগর থানায় ভিকটিম আমির হোসেন বাদী হয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার আসামিরা হলেন, পুলিশ উপপরিদর্শক (এএসআই) ইউসুফ আলী ভূঁইয়া ও সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) জিয়াউর রহমান এবং তাদের দুই সোর্স সোহাগ ও নাদিম।

    মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী আমির হোসেন গত ০৯ সেপ্টেম্বর সাংগঠনিক কাজে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে আসেন। পার্টি অফিস থেকে বন্ধু অভির সাথে তার বাসা সাভার উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাস্তায় জ্যাম থাকার কারণে তারা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সামনে নেমে যান। এরপর আসামি ইউসুফ মোটরসাইকেল করে এসে বাদীকে বলেন তারা সোর্সের মাধ্যমে জানতে পেরেছে তার কাছে মাদক আছে। পরে জিয়াউর রহমান ও আরও দুই আসামি পুলিশের সোর্স বাদীকে তল্লাশি করে মাদক না পাওয়ায় বাদীর মোবাইল ফোন ও সঙ্গে থাকা ১৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এরপর বাদী ও বাদীর সঙ্গে থাকা বন্ধু অভিকে ওই দুই পুলিশ সদস্য যক্ষ্মা হাসপাতালে সামনে নিয়ে গিয়ে বাদীর কাছে আরও ১৩ হাজার টাকা দাবি করে।

    তখন বাদী বলেন, তার সিটি ব্যাংকে একাউন্টে ১৩ হাজার টাকা আছে। এরপর তাকে হাতকড়া পরিয়ে দুই সোর্স সিটি ব্যাংকের বুথে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে বাদী ডাক-চিৎকার করলে আসামিরা পালিয়ে যায়।

    বাদী অভিযোগে আরও বলেন, বাদী এটিএম বুথ থেকে তার সঙ্গে থাকা পরিচিত বন্ধু অভির কাছ থেকে জানতে পারে, বাদীকে যখন এটিএম বুথে নিয়ে যায় এ সময় অভির মায়ের কাছ থেকে আসামিরা বিকাশের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। মামলার অপর দুই আসামি পুলিশের সোর্স সোহাগ ও নাদিমকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।


    এইচেকআর
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ