চিকিৎসক ভেবে টেকনোলজিস্টের সঙ্গে প্রেম, এরপর যা হলো

চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে নারী চিকিৎসকের সঙ্গে প্রেম করছিলেন এক টেকনলোজিস্ট। সম্পর্কের দুই মাসের মাথায় তার আসল পরিচয় জানতে পারেনি ওই নারী চিকিৎসক।এরপর প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগ থানার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে তাদের আবার দেখা হয়। সেখানে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ওই নারী চিকিৎসক ছুরিকাহত হন। রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত ওই নারী চিকিৎসক জানান, তিনি বগুড়া টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ থেকে সম্প্রতি এমবিবিএস পাস করেছেন। এখন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এফসিপিএস এর কোচিং করছেন।
তিনি আরও জানান, বগুড়ায় লেখাপড়া করা অবস্থায় মুক্তাদির (২৮) নামের এক তরুণের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মুক্তাদির তখন নিজেকে চিকিৎসক বলে পরিচয় দেন। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবার তাদের মেনে নিয়ে বিয়েতেও রাজি হয়।
নারী চিকিৎসক জানান, প্রেমের সম্পর্ক দুই মাস যাওয়ার পর গত ১০-১৫ দিন আগে তিনি জানতে পারেন, মুক্তাদির কোনো চিকিৎসক নন। তিনি কুমিল্লার একটি হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট। রোগীদের এমআরআই করান তিনি।
এরপর তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। মুক্তাদিরের সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখবেন না বলে জানিয়ে দেন ওই নারী চিকিৎসক। এ কথা শুনে মুক্তাদির বিভিন্ন সময় তাকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকেন।
নারী চিকিৎসক জানান বলেন, মঙ্গলবার তিনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তাদিরের সঙ্গে দেখা করেন। তখন তাদের মধ্যে আবার ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মুক্তাদির তার বোনকে ফোন দিতে বলেন ওই চিকিৎসককে। ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করে তাকে বলতে বলেন, মুক্তাদিরই তাকে ছেড়ে গেছেন।
পরে সেখানে তার কথামতো কাজ করেই বাসায় ফেরার জন্য রিকশায় ওঠেন ওই নারী চিকিৎসক। তখন মুক্তাদিরও রিকশাতে উঠে নারী চিকিৎসকের ব্যাগ নিয়ে নেন। সেই ব্যাগ থেকে ফল কাটার ছুরি বের করে নিজেকে আঘাত করার চেষ্টা করেন মুক্তাদির। তখন সুমি তাকে আটকাতে গেলে ধস্তাধস্তিতে তার হাতের আঙুল কেটে যায়।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম হোসেন জানান, শহীদ মিনারের পাশে রিকাশায় তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মেয়েটির ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে মুক্তাদির নামের ওই তরুণ তাকে বলেন, ‘যদি তুমি আমাকে বিয়ে না করো, তাহলে আমি আত্মহত্যা করব। ’ তখন মেয়েটি তার হাত থেকে ছুরি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তার আঙুল কেটে যায়। পরে ওই তরুণ তাকে রেখে পালিয়ে যান। ওই মেয়েকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এসএম