গাছের সাথে বাঁধা, মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো কিশোরের মরদেহ

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় আশরাফুল ইসলাম (১৪) নামে এক কিশোরের গাছের সাথে বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার উপজেলার দৈয়া পাড়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার হাত-পা বাঁধা ও মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল।
আশরাফুল কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের আল আমিনের ছেলে এবং লালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আশরাফুল লালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়তো। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় বাবার অটোরিকশা চালাতো। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর সে নিখোঁজ হয়। রাতে তিতাস থানা এবং গৌরিপুর ফাঁড়ি পুলিশকে মৌখিকভাবে জানান বাবা আল আমিন।
তিনি জানান, স্কুল বন্ধ থাকায় ছেলে অটোরিকশা চালাতো। প্রায় সময় গৌরিপুরের কয়েকজন তাকে বিরক্ত করতো। একবার তার কাছ থেকে জোর করে টাকা-পয়সাও নিয়ে গেছে। ছেলে হত্যার বিচার চাই।
গৌরিপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার গৌরিপুর ইউনিয়নের দৈয়াপাড়া গ্রামের নোমান সরকারের বাড়ির পুকুর পাড় থেকে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো এবং গাছের সাথে হাত বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেছি। পাশে অটোরিকশাটিও ছিল। ধারণা করা হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যা। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে।
এইচেকআর