নকল ওষুধ কুরিয়ারের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতেন তারা


দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্যান্ডের নকল ওষুধ প্রস্তুত করে কুরিয়ারের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সারা দেশে। সাধারণ ভোক্তা বোঝার কোনো উপায় নেই, তিনি আসল না নকল ওষুধ কিনছেন।
গতকাল শনিবার মিটফোর্ড কেন্দ্রিক নকল ওষুধ প্রস্তুতকারী চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ওষুধ।
বহুল প্রচলিত গ্যাসের ওষুধ ওমিপ্রাজল বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল বা বিদেশি রং ফর্সাকারী ক্রিম বা ব্যথা কমানোর ওষুধ মুভসহ আরও অনেক ওষুধ তারা তৈরি করছেন। বোঝার উপায় নেই, দেখতে হুবহু আসলের মতো। তবে আদতে সবই নকল। শনিবার ডিবির লালবাগ বিভাগ অভিযান চালিয়ে ১৬ ধরনের বিপুল পরিমাণ ওষুধ জব্দ করেছে।
গ্রেপ্তার করা হয়েছে মিটফোর্ড কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা ভেজাল ওষুধ প্রস্তুত ও বাজারজাতকরণ চক্রের তিন সদস্যকে।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহাবুব আলম সাংবাদিকদের জানান, আটক তিন জনেরই রয়েছে একাধিক গোডাউন ও ফার্মেসি। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার ফার্মেসিতে চাহিদার ভিত্তিতে বাজারজাত করে আসছিল তারা।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নাঈম গোলদারের দাবি, জনবল সংকটের পরও বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করছেন তারা।
তবে বাজারে নকল ওষুধের সরবরাহ কেন বন্ধ হচ্ছে না মেলেনি সেই প্রশ্নের সদুত্তর।
ভেজাল ওষুধ খেয়ে কিডনি বা লিভার জটিলতাসহ নানা সমস্যায় পড়ছেন রোগীরা। তাই ফার্মেসি থেকে কেনার সময় ওষুধ প্রশাসনের রেজিস্টার্ড নম্বর দেখে নেওয়ার পরামর্শ পুলিশের।
এইচেকআর
