দেশের কচু রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে

খাগড়াছড়ির পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা কচু দিনবদলের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে চাহিদা না থাকলেও প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি হচ্ছে মিয়ানমার, চীনসহ বিভিন্ন দেশে। ইতোমধ্যে জেলার দীঘিনালার অনেকে এ খাতে পেয়েছেন সফলতা। কর্মসংস্থানের সুযোগও হয়েছে অনেকের।
পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা একধরনের কচু নাম লিখিয়েছে রপ্তানি পণ্যের তালিকায়। স্থানীয়দের কাছে এটি জঙ্গলের ওল কচু বা বাধ কচু নামে পরিচিত। রান্নার প্রণালী কঠিন হওয়ায় এটি তেমন প্রচলিত নয় এখানকার হাটবাজারে। তবে প্রক্রিয়াজাত করে এ কচু পাঠানো হচ্ছে মিয়ানমার, চীনসহ বিভিন্ন দেশে। ইতোমধ্যে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার অনেকে এ ব্যবসায় সফলও হয়েছেন।
কচু ব্যবসায়ীরা জানান, মাটি থেকে কচু তোলার পর পরিষ্কার করে কেটে রোদে শুকানো হয়। পুরোপুরি শুকানোর পর তা বস্তা ও প্যাকেটজাত করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখান থেকে আড়তদাররা বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে থাকে। পাহাড়ি এই কচুর প্রচুর চাহিদা রয়েছে বিদেশেও বলে জানান তারা।
প্রক্রিয়াজাত কাজে কর্মসংস্থানের সুযোগও হয়েছে স্থানীয়দের। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, কাটা ও শুকানোর কাজে পুরুষদের পাশাপাশি কাজ করছেন নারীরাও।
কচু প্রক্রিয়াজাত করণের কাজ করা নারী শ্রমিকরা জানান, এই কচুগুলো কাটা ও পরিষ্কারের কাজ করে যে টাকা পাই তা দিয়ে আমাদের সংসার চলছে। সন্তানের পড়াশোনাও করাতে পারছি। কচু উৎপাদনের কারণে আমরা কাজ করতে পারছি।
দেশের বাইরে এ জাতের কচুর চাহিদা থাকলে এর সম্ভাব্যতা যাচাই করে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদে কৃষকদের কারিগরি সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ।
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস বন্ধ ও রক্ষা করা গেলে আরও অনেক সম্ভাবনা ধরা দেবে অদূর ভবিষ্যতে এমনটা মত পরিবেশবাদীদের।
এইচেকআর