সাউথ বাংলা ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ৯ জনকে দুদকে তলব

সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ব্যাংকটির সাবেক এমডিসহ নয় কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত নোটিসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগামী রোববার তাদেরকে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে বলে দুদকের জনসংযোগ দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ব্যাংকটির সাবেক এমডিসহ নয় কর্মকর্তারা হলেন, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মামুনুর রশীদ মোল্লা। ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউল লতিফ, ভিপি ও শাখা প্রধান এসএম ইকবাল মেহেদী, এফএভিপি ও অপারেশন ম্যানেজার মোহা. মঞ্জুরুল আলম, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার মণ্ডল ও ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার তপু কুমার সাহা।
দেশে বিদেশে বিভিন্ন কোম্পানি খুলে ‘বিপুল পরিমাণ অর্থ’ আত্মসাতের অভিযোগে এস এম আমজাদ হোসেনের বিষয়ে গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
গত মঙ্গলবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন আমজাদ হোসেন।
দুদকে আসা অভিযোগ বলা হয়, আমজাদ হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে নামে-বেনামে দেশে বিদেশে বিভিন্ন কোম্পানি খুলে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের খুলনা সদর ও কাটাখালী শাখা ব্যবহার করে আমদানি-রফতানি ও ঋণের আড়ালে নানা দুর্নীতি, অনিয়ম, জালিয়াতির মাধ্যমে আমানতকারীদের বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, রূপসা ফিশ নামের একটি কোম্পানির নামে ৩৭৪ কোটি টাকার ঋণপত্র খোলা হয়েছিল। পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্যাংক চেয়ারম্যানের কোম্পানিটির ঋণপত্র খোলার কথা শতভাগ মার্জিনে। যদিও এ সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ঋণপত্রটি খোলা হয়েছিল মাত্র ৫ শতাংশ মার্জিনে। ব্যাংকিং রীতিনীতি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে কিছুদিনের মধ্যেই মার্জিনের অর্থ আমজাদ হোসেনকে ফেরতও দেওয়া হয়। এছাড়া আইন অনুযায়ী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে ঋণপত্রটি খোলার সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়ার কথা। ব্যত্যয় ঘটেছে এক্ষেত্রেও। শুধু রূপসা ফিশ নয়, আমজাদ হোসেনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর প্রায় প্রতিটিই বড় মাত্রায় ছাড় পেয়েছে ব্যাংকটিতে।
এমবি