ঢাকা সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

Motobad news

আমতলীতে ফসলি জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ: হারিয়ে যাচ্ছে আবাদি জমি

আমতলীতে ফসলি জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ: হারিয়ে যাচ্ছে আবাদি জমি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরগুনার আমতলীতে যেখানে সেখানে সরকারি কোনো অনুমোদন ছাড়াই ফসলি জমি দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে । এতে  হারিয়ে যাচ্ছে আবাদি জমির পরিমাণ, যার ফলে উপজেলায় খাদ্য ঘাটতির আশংকা বেড়ে যাচ্ছে।

আমতলী পৌরসভার বাইরে বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, এলাকায় রাস্তার পাশে চার রাস্তার মোড়ে ফসলি জমি দখল করে বসতি ঘরবাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। আর এইসব জমি গুলো প্রায় সব তিন ফসলের জমি। মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন ও রুচির পরিবর্তন হওয়ায় ভবিষ্যতের চিন্তা না করে তারা এইসব তিন ফসলি জমি দখল করে বসতবাড়ি তৈরি করছে। যার কারণে দিন দিন ফসলি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে।

আমতলী উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে আমতলী উপজেলায় মোট জমির পরিমাণ ২৫ হাজার ৯২ হেক্টর। এরমধ্যে আবাদি জমি ২৩ হাজার ৫শ ৫০ হেক্টর। এর মধ্যে স্থায়ী পতিত জমি ১০০ হেক্টর। জলাশয়   ১ হাজার ১শ ৫৮.১২ হেক্টর, ফলবাগান ১ হাজার ৩শ ৫২ হেক্টর, বর্তমান বাড়ি ঘর রয়েছে ৫ হাজার ১শ ৪৯ হেক্টর জমিতে, তাছাড়া রাস্তা ও বিভিন্ন অবকাঠামো রয়েছে ১ হাজার ৪শ ৯৪ হেক্টর  জমিতে।

সূত্র আরো জানায়, আমতলী  উপজেলায় সরকারি হিসাবে ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮৮ হাজার ৪৬১ ও মহিলা ৯৪ হাজার ৩৩৭ এ হিসাব ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী । তবে জনসংখ্যা তো বেড়েই চলেছে বর্তমান (জরিপ করলে) বেসরকারি হিসাবে আমতলী উপজেলার  জনসংখ্যা প্রায় ৩, লাখ ৫০ হাজার ।  
আমতলী  উপজেলার গুলিশাখালী  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড: এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি  জানান, বাড়ি ঘর তৈরি করতে সরকারের অনুমোদন লাগে তা মানুষ জানেনা, তাছাড়া কেউ অনুমোদনের জন্য পরিষদে আসে না।

এ ব্যাপারে আমতল্যী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের মধ্যে ফসলি জমিতে  বসতবাড়ি তৈরির প্রবণতা বেড়ে চলেছে। যার কারণে আবাদি জমি হারিয়ে যাচ্ছে। এই ভাবে চলতে থাকলে দিন দিন ফসলি জমি হারিয়ে যাবে। যার কারণে ভবিষ্যতে খাদ্য ঘাটতির আশংকা বেড়ে যাচ্ছে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওসার হোসেন বলেন,পল্লী এলাকায় মানুষের ফসলি জমিতে  বসতবাড়ি তৈরি করতে হলে সরকারি আইন রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু কোনো মানুষ এই কাজটি করে না। তবে এ ব্যাপারে মানুষের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
 


এইচেকআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন