ঢাকা বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জে ডে খানের সাথে মজিবর রহমান সরোয়ারের সৌজন্য সাক্ষাৎ  বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব নুরুল হুদা ফয়েজীর ইন্তেকাল যারা জুলাই বিপ্লব মানবেন না, তাদের জন্য ২৬ সালে কোনো নির্বাচন নাই আগৈলঝাড়ায় প্রতারণা মামলায় পিতা-পুত্র গ্রেফতার দৌলতখানে একসেলারেটেড এডুকেশন মডেল বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা  চরফ্যাশন লঞ্চঘাটে অতিরিক্ত টোল আদায়, যাত্রীদের ক্ষোভ ৫ দফা দাবিতে পায়ে হেঁটে ঢাকার উদ্দেশ্য লংমার্চে শিক্ষার্থীরা  আইনজীবীদের নিয়ে কটূক্তি, সাবেক এমপি ফরহাদের বিরুদ্ধে মামলা  কাউখালীতে ইউপি সদস্য গ্রেফতার ৩ বরিশালে ট্রলারের ধাক্কায় ব্রিজ ভেঙে খালে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
  • চশমা কেনার আগেই আমার নাতনি চলে গেল

    চশমা কেনার আগেই আমার নাতনি চলে গেল
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    চট্টগ্রামে চশমা কিনে মামার সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেরীন মাহবুব সাদিয়া। একপাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পা পিছলে পড়ে যান নালায়। প্রায় ৫ ঘণ্টা খোঁজার পর সাদিয়ার মরদেহ মিলেছে আবর্জনার স্তূপে। সত্তরোর্ধ্ব নানা জামাল আহমেদ সঙ্গে সঙ্গে লাফ দিয়েছিলেন কিন্তু বাঁচাতে পারেননি নাতনীকে।

    সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ২টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মেহেরীন মাহবুব সাদিয়ার (২০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে একই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাদমতলী এলাকায় নালায় পড়ে যান সাদিয়া।


    নাতনীর মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না জামাল। শুধু আক্ষেপ করতে করতে বলতে লাগলেন, নাতনীর হাতটি ধরা থাকলে হয়তো পড়তো না।

    সাদিয়া নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই বারবার মূর্চ্ছা যাচ্ছিলেন তার মা শেলী আক্তার। বারবার সাদিয়ার আঁকা বিভিন্ন জিনিসগুলো দেখে কান্না করছিলেন, স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন না। তাই তার বাবা মা দুজনকেই ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে।

    এক রুমে বসে আছেন সাদিয়ার নানা জামাল আহমেদ, যিনি সাদিয়া নালায় পড়ে যাওয়ার সময় সাথেই ছিলেন। স্বজনরা পাশে বসে তাকে স্বান্তনা দেয়ার চেষ্টা করছেন।

    সাদিয়ার নানা জামাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দোকানে অনেক চশমা দেখিয়েছে। কিন্তু একটা চশমাও পছন্দ হয়নি তার। সকালে আবার দোকানে গিয়ে চশমা পছন্দ করার কথা ছিল। তার আগেই আমার নাতনি চলে গেল।

    তিনি আরও বলেন, সাদিয়া পড়ে গেলে সাথে সাথে তিনিও লাফ দেন। তাকে দেখে তার ছেলে জাকিরও (সাদিয়ার মামা) লাফিয়ে নামে।

    “যদি হাতে থাকত … পড়ত না।” এমন একটা কথা বলে খালি আক্ষেপ করছেন সাদিয়ার নানা।

    ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন বলেন, সড়কের নিচে একটা নালা, প্রায় ১০ ফুট প্রশস্ত। আবার এর ভেতরে আরেকটা নালা পাওয়া যায়, সেটাও ৮ থেকে ১০ ফুট প্রশস্ত। সম্ভবত ৫০ থেকে ৬০ বছর আগে সড়ক উঁচু করার সময় অপরিকল্পিতভাবে সেই নালা রেখেই আরেকটি নালা করা হয়। আগের সেই নালা ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ। কমপক্ষে সেখানে প্রায় ৩ টন আবর্জনা জমে আছে। অনেক চেষ্টা করেও ডুবুরি সেখানে যেতে পারেনি। সেটা আবার টার্ন নিয়েছে কর্ণফুলী নদীর দিকে দক্ষিণে।


    এমবি
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ