প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের স্ত্রীকে আহত করে হাসপাতালে ভর্তি

বরগুনার আমতলীতে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের স্ত্রী রাহিমা বেগমকে (৩৫) আহত করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্বামী মাসুম কাজী। ঘটনাটি ঘটেছে আজ সকালে উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কালীবাড়ী গ্রামের আঃ মন্নান কাজীর ছোট ভাই মোজ্জাম্মেল কাজীর (মাষ্টার) কাছে তার বসত বাড়ীর সম্মুখে কালীবাড়ী মৌজার ৮৪ নং খতিয়ানের ১৬০৪ নং দাগের সম্মুখভাগের খাস খতিয়ানভুক্ত ৫ শতাংশ জমি বিক্রি করার কথা। কিন্তু প্রতিবেশী রেজাউল করিম কুদ্দুস চৌকিদার ওই জমি গোপনে দাম বাড়িয়ে আঃ মন্নান কাজীকে বায়না দেন।
এ ঘটনা জানাজানি হলে গত শনিবার সকালে তুলাতলা বাজারে বসে মোজ্জাম্মেল কাজী (মাষ্টার) সাথে প্রতিবেশী রেজাউল করিম কুদ্দুস চৌকিদারের সাথে গোপনে জমির বায়না করাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়। এসময় মোজাম্মেল কাজীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে তার কাছে থাকা নগদ ১ লক্ষ টাকা প্রতিবেশী রেজাউল করিম কুদ্দুস চৌকিদার ও তার সাথে থাকা লোকজন ছিনিয়ে নেন।
এ ঘটনায় ২ অক্টোবর রেজাউল করিম কুদ্দুস দফাদার, মাসুম কাজী ও নেছার উদ্দিনকে আসামী করে আমতলী থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলাকে কেন্দ্র করে আজ সকাল ১০ টায় আসামী রেজাউল করিম কুদ্দুস চৌকিদারের যোগসাজশে অপর আসামী মাসুম কাজী তার স্ত্রী রাহিমা বেগমকে তার নিজ গৃহে মাথায় আঘাত করে আহত করে প্রথমে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তার চিকিৎসা হচ্ছে।
আহত গৃহবধূ রাহিমার শ্বশুর বৃদ্ধ আঃ মন্নান কাজী বলেন, তিনি ও তার স্ত্রী এ ঘটনা স্ব-চোখে দেখেননি। তার পুত্রবধূ কিভাবে আহত হয়েছেন সেটাও তিনি জানেন না। শুনছেন কেউ তার মাথায় কোপ দিয়েছে।
একই বাড়ীর প্রতিবেশী শানু কাজী বলেন, আমি সকাল থেকে বাড়ীতেই অবস্থান করছি। কিন্তু বাড়ীতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মাসুম কাজী তার স্ত্রীকে আহত করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে আহত গৃহবধূর রাহিমা বেগমের স্বামী মোঃ মাসুম কাজীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় দিতেই তিনি লাইনটি কেটে দেন। এরপর একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহ আলম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেহ অভিযোগ করেনি।
এমবি