বিয়ের এক বছর পর ‘স্বামীর’ বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিয়ের নাটক সাজিয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নয়ন মিয়া এবং তুমলিয়া ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী নারীর।
অভিযুক্ত নয়ন (৪৫) নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের মাথিচর গ্রামের আমান উল্লাহর ছেলে। কালীগঞ্জ পৌরসভার মুনশুরপুর এলাকায় স্ত্রী, কন্যা ও দুই পুত্র সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থেকে কালীগঞ্জ বাজারে সবজি ও ফলের ব্যবসা করেন তিনি।
ভুক্তভোগী নারী জানান, আগের স্বামীর সঙ্গে তালাক হওয়ার পর তিনি বাবার বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি এনজিওতে কাজ করতেন। ওই সুবাদে নয়নের সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সাত বছর আগে একটি মাজারে নিয়ে কসম কেটে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নয়ন তার সাথে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করে। গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মো. আবু তাহেরের দড়িসোম গ্রামের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করে নয়ন। সেখানে কাজী ছাড়াও বিয়ের উকিল, মাওলানা ও সাক্ষী রাখা ছিল। সাদা কাগজে তাঁর ও নয়নের স্বাক্ষর নেওয়া হয়। বিয়ে পড়ানো শেষে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। তারপর ভূক্তভোগীকে নিয়ে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মুনশুরপুর, দড়িসোম, বাঙ্গালহাওলা ও গাজীপুর মহানগরীর মিরের বাজার এলাকায় বাসা ভাড়া করে স্বামী-স্ত্রীর মত সংসার করেন। দীর্ঘ ৮ বছরে নয়ন বিভিন্ন সময় নিজের ব্যবসার মন্দার অজুহাত দেখিয়ে তার কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন ৪/৫ লাখ টাকা। এক পর্যায়ে টাকা দিতে না পারায় নয়ন শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন।
কয়েকদিন আগে বিয়ের কাবিননামা আনতে গিয়ে কাজী অফিসে গিয়ে জানতে পারেন বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়নি। বিয়েও ছিল সাজানো নাটক।
অভিযুক্ত নয়ন মিয়া বলেন, ওই নারীর সঙ্গে তার প্রেম বা বিয়ের কোনো সম্পর্ক ছিল না। তবে পরিচয় সূত্রে বাড়িতে বাজার-সদাই ও ওষুধসহ বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করতে বাড়িতে যেতেন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আনিসুর রহমান বলেন, বুধবার বিকেলে অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমবি