ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news

২ দিনের রিমান্ডে সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রীর এপিএস

২ দিনের রিমান্ডে সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রীর এপিএস
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস ফুয়াদের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বিকেলে ফরিদপুরের এক নম্বর আমলী আদালতের বিচারক রত্মা সাহা এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ফুয়াদকে আটকের পর ২০১৬ সালের ১২ জুলাই ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় দায়ের করা ছোটন হত্যা মামলার আসামি দেখিয়ে ওই মামলার তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। সত্যতা নিশ্চিত করে ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক তদন্ত আব্দুল গফফার বলেন, শুনানি শেষে আদালত ফুয়াদের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাংসদ খন্দকার মোশাররফ হোসেনের একান্ত সহকারি কর্মকর্তা (এপিএস) এ এইচ এম ফোয়াদকে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশ এবং ডিএমপি ঢাকার ভাটারা থানা পুলিশের সহযোগিতায় বসুন্ধরা এলাকার রোড নম্বর ৮, ব্লক সি, বাসা-১৮৩ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বক্তব্যে আরও বলা হয়, ফোয়াদকে ২০১৬ সালের ১২ জুলাই ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় দায়ের করা ছোটন হত্যা মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, এ এইচ এম ফোয়াদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা, মারামারি, হামলা, সরকারি চাল উদ্ধার এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়িতে হামলাসহ আটটি মামলা রয়েছে। এ মামলাগুলির মধ্যে সাতটি মামলার অভিযোগপত্রের (চার্জশিট) আসামি এ এইচ এম ফোয়াদ। তিনটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। একটি মামলায় তার বাড়ির অস্থাবর মালামাল ক্রোক করার পরোয়ানা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, এ এইচ এম ফোয়াদ প্রায় ১০ বছর যাবৎ ফরিদপুর শহরে হেলমেট বাহিনী, হাতুড়ি বাহিনীসহ বিভিন্ন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজি, পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ অফিস বিভিন্ন হাট বাজার ইজারা, বালু মহল নিয়ন্ত্রণ, ভূমি দখল, বাসস্ট্যান্ড ও সিএনবি ঘাট দখলসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে ত্রাস সৃষ্টি করে অঢেল অবৈধ সম্পদ অর্জন করে।

এ এইচ এম ফোয়াদ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার দক্ষিণ বিলনালিয়া গ্রামের মৃত মোজহারুল হক চোকদারের ছেলে।


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন