ঢাকা শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news

‘পুষ্টিকর খাবারের অভাব নেই, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ কিনতে পারে না’

‘পুষ্টিকর খাবারের অভাব নেই, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ কিনতে পারে না’
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। ফাইল ছবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

কৃষিমন্ত্রী  ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‌‘দেশে পুষ্টিকর খাবারের অভাব নেই। কিন্তু সমস্যা হলো- বেশিরভাগ মানুষ তা কিনতে পারে না।  কারণ, মানুষের আয় সীমিত। সেজন্য মানুষের আয় বাড়াতে হবে। আর এটি করতে হলে, কৃষিকে লাভজনক ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ কৃষিজীবী বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জীবনমানকে উন্নত করতে হবে।

এ লক্ষ্যে সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি ও উচ্চমূল্যের অর্থকরী ফসল উৎপাদনে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।’

আজ শনিবার বিকালে ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২১ উপলক্ষে ‘ভালো উৎপাদনে ভালো পুষ্টি, আর ভালো পরিবেশেই উন্নত জীবন’ শীর্ষক কারিগরি সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের নিশ্চয়তা দিতে নিরলসভাবে কাজ করছে। সেজন্য, ফসলের ভালো উৎপাদনের জন্য প্রচেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে উত্তম কৃষি চর্চা মেনে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটি মেনে ফসল উৎপাদিত হলে খাবারের পুষ্টিমান যেমন অক্ষুণ্ণ থাকবে তেমনি পরিবেশেরও ক্ষতি হবে না।’

এফএওর মহাপরিচালক কিউ দোংয়ু ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘কোভিড মহামারির বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে খাদ্য দিবস পালিত হচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বিশ্বব্যাপী মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি রেজিলিয়েন্ট, ইনক্লুসিভ ও সাসটেইনেবল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।’

অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. খালেদা ইসলাম, আইসিডিডিআরবির নির্বাহী  পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ, বাকৃবির সাবেক উপাচার্য ড. সাত্তার মণ্ডল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশনের নির্বাহী পরিচালক ড. লরেন্স হাদ্দাদ। প্রবন্ধে বলা হয়, ‘কোভিডের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী অপুষ্টি, দারিদ্র্য ও খাদ্যপণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। করোনার কারণে অপুষ্টিতে ২০২২ সালের মধ্যে  অতিরিক্ত ১২ মিলিয়ন খর্বাকৃতি শিশু ও ১৩ মিলিয়ন কৃশকায় শিশু যুক্ত হতে পারে। অথচ করোনার আগে দুটোই ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছিল।’


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন