ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news

সৌদি আরব-বাহরাইন থেকে লেবাননের রাষ্ট্রদূত বহিষ্কার

সৌদি আরব-বাহরাইন থেকে লেবাননের রাষ্ট্রদূত বহিষ্কার
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

লেবাননের তথ্যমন্ত্রী জর্জ কোরদাহির "অপমানজনক" মন্তব্যের কারণে সেই দেশের রাষ্ট্রদূতকে দেশত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে সৌদি আরব। একই কারণে বাহরাইনও লেবাননের রাষ্ট্রদূতকে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। শনিবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, লেবাননের রাষ্ট্রদূতকে সৌদি আরব ছাড়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে এবং বৈরুতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে পরামর্শ করার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, লেবানন থেকে যেকোনো ধরনের পণ্য আমদানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

একই কারণে মানামাতে নিযুক্ত লেবাননের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের আদেশ জারি করে বাহরাইন কর্তৃপক্ষ। বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশ ত্যাগের জন্য লেবাননের রাষ্ট্রদূতকে দুই দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, আলজাজিরা টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লেবাননের তথ্যমন্ত্রী জর্জ কোরদাহি বলেছেন, ইয়েমেনে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের আগ্রাসন ব্যর্থ হয়েছে এবং এখন ইয়েমেন যুদ্ধ বন্ধ করার সময় হয়েছে। তার এ বক্তব্যের জের ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং কুয়েতে নিযুক্ত লেবাননের রাষ্ট্রদূতদেরকেও তলব করে প্রতিবাদ জানানো হয়।

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন যে তিনি সৌদি সিদ্ধান্তের জন্য "গভীরভাবে দুঃখিত" এবং সৌদি আরবের সঙ্গে তিনি সম্পর্ক ঠিক করতে কাজ করবেন।

সৌদি মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, লেবানন কর্তৃপক্ষের ভুল পদক্ষেপের কারণে রিয়াদ ও বৈরুতের মধ্যে সম্পর্কের যে অবনতি হয়েছে তার জন্য সৌদি সরকার দুঃখিত। বিবৃতিতে দাবি করা হয়, দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব লেবাননের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাইলেও লেবানন কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে উপেক্ষা করার কারণে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।

লেবানন থেকে সৌদি আরবে যেসব মাদক চোরাচালান হয়ে আসছে তা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বৈরুত কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে বলেও সৌদি আরব অভিযোগ করেছে। পাশাপাশি লেবাননে সৌদি নাগরিকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে রিয়াদ সরকার।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লেবানন ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। ২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।

অভিযানের শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক সংকটের অবসান হওয়ার পরিবর্তে তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনও মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে, অন্যদিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হুথি বিদ্রোহীরা।


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন