কলকাতার রবীন্দ্র সরোবরে করা যাবে না ছটপূজা

ভয়ানক দূষণের মুখে কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর। পানি অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় মাছের মড়ক লেগেছে। ঢাকুরিয়া লেকের পরিবেশ সংরক্ষণে ইতোমধ্যে আদেশ দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। তাই পরিবেশ রক্ষায় এবার রবীন্দ্র এবং সুভাষ সরোবরে হবে না ছটপূজা।
আগামী ১০ ও ১১ নভেম্বর ছটপুজো হবে। এই দুই দিন গঙ্গার ঘাটগুলোতে আলোর ব্যবস্থা থাকবে। প্রত্যেক জলাশয়ে গোসল এবং পূজার পর ব্রতপালনকারীদের পোশাক পরিবর্তনের জন্য রাখা হয়েছে যাবতীয় ব্যবস্থা।
রোববার কেএমডিএ’র তরফে জানানো হয়েছে, ছটপূজার পুণ্যার্থীরা থাকেন এমন ওয়ার্ডের কাছে হোর্ডিং ও পোস্টার দিয়ে বিকল্প জলাশয়ের কথা জানানো হচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে কেউ দীর্ঘদিনের প্রথা মেনে রবীন্দ্র সরোবরে ব্রত পালনে না যান। গঙ্গার ৩৭টি ঘাট এবং যোধপুর পার্ক, পোদ্দারনগর, আনন্দপুর ও পাটুলি মিলিয়ে মোট ১৭০টি ঘাট ছটপূজার জন্য প্রস্তুত হয়েছে বলে জানান প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার।
ভারতীয় উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকলেও গত বছর পুলিশের সামনে দিয়ে মিছিল নিয়ে সরোবরে ছটপুজো করেন পুণ্যার্থীরা। ধর্মীয় আবেগের কথা মাথায় রেখে ব্রতপালনকারীদের পুলিশ বাধা দিতে যায়নি বলে দাবি কেএমডিএ’র।
তবে ঢাকুরিয়া লেক নিয়ে লাগাতার আন্দোলন করা একাধিক পরিবেশবিদের অভিযোগ, ‘সরোবরের ধার ঘেঁষে চলতে থাকা পাঁচতারা ক্লাবগুলো থেকে দূষিত বর্জ্য ও রাসায়নিকের একটা বড় অংশ প্রতিদিনই লেকের পানিতে মিশছে।’
ইতোমধ্যেই ঢাকুরিয়ার রবীন্দ্র সরোবর পরিদর্শন করেন কলকাতার বিশিষ্ট পরিবেশবিদ ও আইনজীবী সুভাষ দত্ত। এ সময় তিনি জাতীয় সরোবর দূষণের ২৭টি বিপজ্জনক ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছেন। ক্ষেত্রগুলোর ছবি ও তথ্য আগামী সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে সরোবরের পরিবেশ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে জমা দেবেন বলেও জানান সুভাষ।
এসএম