ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news
শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় যুবক

‘বউ ফেরত চাই’

 ‘বউ ফেরত চাই’
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

 

 

দাম্পত্য অশান্তির জেরে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে গেছেন স্ত্রী। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন মহিলার স্বামী। স্ত্রী-সন্তানকে ফের ফিরে পেতে তাই শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসেন ওই যুবক।

মঙ্গলবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার মহকুমার কাঠামবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হরিদাস মণ্ডল নামে ওই যুবক মালবাজারের ক্রান্তি ব্লকের কাঠামবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি। বছর চারেক আগে জ্যোৎস্না মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে দু’জনের।

হরিদাসের দাবি, বছরখানেক আগে সামান্য কারণে দাম্পত্য অশান্তি হয়। তারপরই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান হরিদাসের স্ত্রী। শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা জোর করে তার স্ত্রী-সন্তানকে আটকে রেখেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

তবে এ ব্যাপারে অন্য কথা বলছেন হরিদাস মণ্ডলের স্ত্রী জ্যোৎস্না। তিনি বলেন, ‘আমি কোনমতেই হরিদাসের সঙ্গে সংসার করতে চাই না। কারণ, স্বামী আমার উপর শারীরিক অত্যাচার করে। সে কারণে আমি বাপের বাড়ি চলে এসেছি। এতে আমার বাবা-মার কোনও দোষ নেই।’

জ্যোৎস্না মণ্ডল আরও বলেন, ‘কয়েকদিন আমার বাপের বাড়িতেও ছিলেন স্বামী হরিপদ। বাপের বাড়িতেও আমাকে মারধর করত সে। আমি আর স্বামীর সঙ্গে থাকতে চাই না। এভাবে অত্যাচার সহ্য করতে পারছি না। তাই আমি মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকতে চাই। আমার এবং মেয়ের খরচ দিতে হবে স্বামীকেই।’

এদিকে, স্ত্রী এবং সন্তানকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে ধরনায় বসেন হরিদাস। হাতে ছিল স্ত্রী এবং সন্তানের ছবি। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত স্ত্রী এবং সন্তান ফিরে পাচ্ছি ততক্ষণ আমার ধরনা চলবে। এর জন্য মরতেও রাজি আমি।’

তারপর মঙ্গলবার গভীর রাতে ক্রান্তি থানার পুলিশ এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের আশ্বাসে ধরনা প্রত্যাহার করেন হরিদাস।


এসএম
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

সর্বশেষ