ঢাকা শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news

কাউন্সিলর হত্যা: ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতদের জানাজায় এলেন না কেউই

কাউন্সিলর হত্যা: ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতদের জানাজায় এলেন না কেউই
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি সাব্বির হোসেন ও মো. সাজনের জানাজা ছাড়াই দাফন হয়েছে বলে জানা গেছে।

সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর সংরাইশ গোমতী বেড়িবাঁধ এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ওই দুজন নিহত হন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশি পাহারায় তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে তাদের জানাজা-দাফনে এগিয়ে আসেনি এলাকার কোনো লোকজন। তাই জানাজা ছাড়াই তাদের দাফন করতে হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।

পুলিশ জানায়, বন্দুকযুদ্ধে নিহতদের লাশ তাদের নিজ এলাকায় নিয়ে গেলে ক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে পড়তে পারে— এমন আশঙ্কায় সিটি করপোরেশন নিয়ন্ত্রিত নগরীর টিক্কারচর কবরস্থানে তাদের দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও জানাজা পড়াতে কোনো ইমাম ও মুসল্লি এগিয়ে আসেননি। এ সময় এলাকার লোকজন বিক্ষুব্ধ থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

পরে জানাজা ছাড়াই সাব্বির হোসেন ও মো. সাজনের লাশ দাফন করা হয়। কবরস্থান এলাকায় দুই পরিবারের সীমিতসংখ্যক সদস্যকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

এর আগে দুপুর থেকে এলাকাবাসী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ওই দুজনের লাশ এলাকায় দাফন না করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক কায়সার হামিদ বলেন, নিহতদের লাশ নিয়ে আমরা অনেক সময় অপেক্ষা করার পরও জানাজায় অংশ নিতে কেউ আসেনি। তাই জানাজা ছাড়াই তাদের লাশ দাফন করতে হয়েছে। এ সময় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টির আশঙ্কায় আমরা সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রেখেছিলাম।

এর আগে সোমবার গভীর রাতে নগরীর সংরাইশ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ৩ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন (২৮) ও ৫ নম্বর আসামি মো. সাজন (৩২) নিহত হয়।

এর মধ্যে সাব্বির নগরীর সুজানগর এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে এবং সাজন নগরীর সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে।


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন