ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news

উইঘুর নির্যাতনে চীনা নেতাদের সম্পৃক্ততার নতুন নথি ফাঁস

উইঘুর নির্যাতনে চীনা নেতাদের সম্পৃক্ততার নতুন নথি ফাঁস
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

চীনে উইঘুর মুসলিমদের ওপর দমন-পীড়নে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংসহ শীর্ষ নেতাদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া নতুন এক নথিতে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
 
‘শিনজিয়াং পেপারস’ নামে ফাঁস হওয়া নতুন ওই নথিতে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ অন্যান্য নেতাদের বক্তব্য রয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, চীনের যে শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের বাস সে অঞ্চলের নামেই নথির নাম হয়েছে শিনজিয়াং পেপারস। এতে দেখা গেছে, উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট শি, প্রধানমন্ত্রী লি খাখিয়াংসহ চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা বিভিন্ন বক্তব্য রেখেছিলেন।

তাদের সেই বক্তব্যের ভিত্তিতে উইঘুর ও অন্য মুসলিমদের বিরুদ্ধে নীতিমালা তৈরি হয়েছে। এই নীতিমালার মধ্যে আছে- গণহারে বন্দি করে রাখা, বন্ধ্যত্বকরণ, সংখ্যাগরিষ্ঠদের সংস্কৃতি মানতে বাধ্য করা, পুনঃশিক্ষণ এবং আটক উইঘুরদের দিয়ে জোর করে কারখানায় কাজ করানো।

সেগুলো বিশ্লেষণের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উইঘুরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারি নেতাদের আহ্বানই তাদের ওপর দমন-পীড়নের পথ প্রশস্ত করেছে।

নথিগুলোর সত্যতা যাচাই করতে ড. আদ্রিয়ান জেঞ্জ, ডেভিড টোবিন ও জেমস মিলওয়ার্ড নামের তিন বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

নথিগুলো সম্পর্কে জেঞ্জ বলেন, এগুলো খুবই গোপন এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি। কারণ, এসব নথিতে উইঘুর ও অন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর চীন সরকারের মনোভাব কেমন, তারা কী চেয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনীকে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এর ভিত্তিতে পরবর্তীতে শিনজিয়াংয়ে কী কী ঘটেছে তা আরও বিস্তারিতভাবে বেরিয়ে এসেছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, দশ লাখের অধিক উইঘুর মুসলিমকে শিনজিয়াং প্রদেশের পুনর্বাসন কেন্দ্র উল্লেখ করে বন্দি রেখেছে চীন সরকার। তাদের ওপর নিয়মিত নিপীড়ন চালানো হয় বলে একাধিক অভিযোগ ও প্রমাণ রয়েছে।

পশ্চিমা বিশ্ব ও মানবাধিকার কর্মীরা চীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্যাতন, বাধ্যতামূলক শ্রম ও জাতিগত নিধনের অভিযোগ করে আসছে।

কিন্তু চীন সরকার তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ও পশ্চিমা ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তবে এই ইস্যুতে বেইজিংয়ের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা দেশগুলো।


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

সর্বশেষ