কানের দুলের জন্যই খুন হয় মরিয়ম

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় পুকুর থেকে মরিয়ম খাতুন (৭) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার মাদারহুদা গ্রামের একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মরিয়ম খাতুন একই গ্রামের স্কুলপাড়ার খাইরুল ইসলামের মেয়ে ও মাদারহুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
নিহত শিশু মরিয়মের বাবা খাইরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সকালে স্কুলের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় মরিয়ম। দুপুরে না ফেরায় বিকেলে তাকে খোঁজাখুজি করা হয়। এ সময় গ্রামের আলিম উদ্দিনের পুকুরের পাশের আমবাগানে মরিয়ম সহপাঠীদের সাথে খেলছিল বলে জানান প্রতিবেশীরা। পরে পুকুর তল্লাশি করা হয়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় মরিয়মের মরদেহ পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আমার মেয়ের কানে সোনার রিং ছিল। কিন্তু তার মরদেহ উদ্ধারের পর তা আর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি সন্দেহ হলে তার সহপাঠীদের জিজ্ঞেস করা হয়। একই গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে মুন্সিগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রিয়া খাতুন আমার মেয়ে মরিয়মকে পুকুরের পাশে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বলে জানায় তার সহপাঠীরা।
আমাদের ধারণা, রিয়া কানের রিং খুলে নিয়ে মরিয়মকে পানিতে ফেলে দিয়েছে। পরে বিষয়টি জানানো হলো রাতে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাতে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। শুক্রবার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় এখনও থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি নিহতের পরিবার। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এমবি