‘র্যাবের মতো মানবিক আত্মসমর্পণের সুযোগ বিশ্বের কোনো বাহিনী দেয়নি’


র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠার পর থেকে মানবিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ইতোমধ্যে জঙ্গি ও জলদস্যু মিলিয়ে মোট ৪২১ অপরাধী আত্মসমর্পণের সুযোগ দিয়েছে র্যাব। তারা এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। র্যাবের এমন মানবিক আত্মসমর্পণের সুযোগ বিশ্বের কোনো বাহিনী দেয়নি। র্যাব মানবাধিকার লুণ্ঠন করেনি বরং মানবাধিকার রক্ষা করে চলছে।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা বলেন।
র্যাবের তথ্যমতে, আত্মসমর্পনকারীদের মধ্যে সুন্দরবনে ৩২৮ ও চট্টগ্রামের বাঁশখালিতে ৭৭ জলদস্যু এবং ১৬ জঙ্গি রয়েছেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি গণমাধ্যমের মাধ্যমে জেনেছি। অফিসিয়ালি এখনও কিছু জানি না। অফিসিয়াল চিঠি না পাওয়ার আগপর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।
তিনি বলেন, আমাদের নয় হাজারের যে ফোর্স (সদস্য), এই ফোর্সের লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজাদসহ ২৮ জন সদস্য জীবন দিয়েছেন। আর মানবাধিকার রক্ষায় এবং আইনশৃঙ্খলা সম্মুন্নত রাখতে আমাদের এক হাজারের বেশি সদস্যের অঙ্গহানি হয়েছে। দুই হাজারের বেশি সদস্য আহত হয়েছেন। বিশ্বের এমন কোনো ফোর্স নেই যাদের নয় হাজার সদস্যের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা ও মানবাধিকার রক্ষায় এমন আত্মত্যাগ রয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব দপ্তর)। এতে র্যাব ও তার ছয় কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি।
মার্কিন রাজস্ব দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত বিবৃতি অনুসারে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় বর্তমান পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদের নাম রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছেন- র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ (কেএম) আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার লতিফ খান ও র্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক (লেফটেন্যান্ট কর্নেল) মিফতাহ উদ্দীন আহমেদ।
এইচকেআর
