ঢাকা রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news

বিয়ের প্রলোভনে নারী কর্মচারীকে ধর্ষণ

বিয়ের প্রলোভনে নারী কর্মচারীকে ধর্ষণ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে তার নারী কর্মচারীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও এক পুলিশ কর্মকর্তা বিবাদীর টাকা পেয়ে ওই নারীকে গ্রামের বাড়িতে তাড়িয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।


অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার সাদুল্লাহপুর এলাকার কৃষ্ণ চন্দ্র ঘোষের ছেলে সুবল চন্দ্র ঘোষ (৩০)।

এলাকাবাসী ও খাবার হোটেল সূত্রে জানা গেছে, সুবল চন্দ্র ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা নামে একটি খাবার হোটেল দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তিনি বিয়ের প্রলোভনে তার হোটেলের এক নারী কর্মচারীকে ৮ মাস ধরে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে। কিন্তু গত ১০ থেকে ১২ দিন আগে ওই হোটেল মালিক সুবল তার নারী কর্মচারীকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী কর্মচারী বাদী হয়ে গত ৪ ডিসেম্বর কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ভুক্তভোগী নারী ওই হোটেলে গিয়ে অনশন করলে হোটেল মালিকসহ তার কর্মচারীরা তাকে মারধর করে।

এদিকে সেই নারীর অভিযোগ পেয়ে কালিয়াকৈর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে তদন্তে যান। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তা হোটেল মালিক সুবলের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেননি। উল্টো তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে অনশনরত নারীকে হুমকি দেন। শুধু তাই নয়, ওই নারীকে জোরপূর্বক উত্তরবঙ্গের একটি গাড়িতেও তুলে দেন তিনি।

ভুক্তভোগী নারী কর্মচারী জানান, প্রথমে জানা ছিল না সুবল হিন্দু। কিন্তু দৈহিক মেলামেশার পর বুঝতে পারি সে হিন্দু। পরে সে জানায়, মুসলিম হয়ে আমাকে বিয়ে করবে এবং বাসা ভাড়া নিয়ে বিয়ের কথা বলে বিভিন্ন সময় আমার সঙ্গে দৈহিক মিলনে আবদ্ধ হয় সুবল। একপর্যায় সুবলের স্ত্রী বিষয়টি জানতে পেরে হোটেলে এসে ভাঙচুর করে। তখনও সুবল বলেছে আমাকে বিয়ে করবে। কিন্তু এখন আমাকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না।

অভিযুক্ত হোটেল মালিক সুবল চন্দ্র ঘোষ জানান, ওই নারী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ আমার হোটেলে আসে। পরে পুলিশ ও ওই নারীসহ তাদের ৭০ হাজার টাকা দিয়ে মিটমাট করেছি। এরপর পুলিশ তাকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য গাড়িতে তুলে দেয়।

তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম জানান, বাদী নিজেই তার অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ধর্ষণের অভিযোগ কীভাবে প্রত্যাহার করলেন? জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে ওই বাদীর সঙ্গে কথা বলতে বলেন।


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন