বরগুনা জেলা যুবলীগের সম্মেলন : আমতলীতে সাজসাজ রব
.jpg)

বরগুনা জেলা যুবলীগের সম্মেলন আগামী ২১ ডিসেম্বর। এই সম্মেলনের আমেজ এখন আমতলী পৌর শহরে বিরাজ করছে। কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অভিনন্দন জানিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমতলীর কৃতি সন্তান মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন মিঠুর পক্ষ থেকে বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে আমতলী।
বরগুনা জেলা যুবলীগের সমম্মেলন হলেও যেন আমতলী উপজেলা যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বইছে অনন্দেও বন্যা। পৌরশহরের বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে কেন্দ্রীয় যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে সামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল, কাজী মাজহারুল ইসলাম, মো. বদিউর রহমান বদিসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বরগুনায় স্বাগত জানিয়ে বিলবোর্ড দিয়েছেন আমতলী উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান, সহসভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বাদল প্যাদা, যুবলীগের অন্যতম নেতা পৌর কাউন্সিলর মো. রিয়াজ উদ্দিন মৃধা, সহসভাপতি সৈয়দ মো. নাজমুল হক ,পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তাইজুল ইসলাম তিঠু, পৌর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নিয়াজ মোর্শেদ ইমন, ক্রিড়া সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান মিজান,নিয়াজ মোর্শেদ তন্ময় মোল্লা প্রমুখ।
জেলা যুবলীগের সম্মেলন হলেও এই সম্মেলন উপলক্ষে আমতলী উপজেলা যুবলীগের পদ বঞ্চিত নেতাদের মধ্যে খুশির বন্যা বয়ে যাচ্ছে। এপ্রসঙ্গে আমতলী উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বাদল প্যাদা বলেন, ২০১৩ সালে আমতলী উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন হওয়ার পরে আমতলীতে যুবলীগের আর কোন সম্মেলন হয়নি। বর্তমানে আমতলী উপজেলা যুবলীগের পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দাবী জানিয়েছেন আগামী ২১ ডিসেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে বরগুনায় নতুন নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে। বরগুনার নতুন কমিটি আমতলী উপজেলা যুবলীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ বাতিল করে আহবায়ক কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত যুবলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটি দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।
সিনিয়র সহসভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালে সম্মেলন হলেও ২০২১ সালে বরগুনা জেলা যুবলীগ সভাপতি সম্পাদকের স্বক্ষরিত একটি কমিটির কাগজ আমরা দেখতে পেয়েছি। ঐ কমিটিতে যারা দল করতে গিয়ে বিএনপি সরকারের আমলে হামলা মামলার শিকার হয়েছের তাদের নাম কমিটিতে নাই। এত বছর বর্তমান সভাপতি কাউকে কমিটির কোন কাগজ দেখায় নাই। মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি তার সুবিধামত যাকে যখন প্রয়োজন তাকে সেই পদ বলে পরিচয় করিয়ে দিতে। কোন নেতা কর্মী তার কথার বাইরে গেলেই বলতো ওতো কমিটিতে নাই। এমনকি উপজেলার গুলিশাখালী ও আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের যুবলীগের সম্মেলন করার প্রায় ৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও তার পছন্দ মত সভাপতি সম্পাদকের নাম ঘোষণা করতে পারেনি প্রকৃত যুবলীগ নেতাদের প্রতিরোধের মুখে। ফলে আজও ঐ দুটি ইউনিয়নের কমিটির নাম ঘোষণা হয়নি। দেখা যায় ঐ সম্মেলনে যারা উপজেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ ছিল ব্যানারে যাদের উপজেলা কমিটির বিভিন্ন পদের বিষয়টি উল্লেখ ছিল।
সর্বশেষ বরগুনা জেলা যুবলীগের সম্মেলন উপলক্ষে আমতলী উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনের ৮ বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটির যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে ব্যানারে লেখা নেতাকর্মীদের নাম নাই। তিনি আরো বলেন, আমতলী উপজেলার যুবলীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি জি এম হাসান তার পারিবারিক ও আত্মীয় বলয়ে যুবলীগের কমিটি করে এনেছেন। উপজেলা যুবলীগকে তিনি তার ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। যুবলীগ বলতে বর্তমান সভাপতি জি এম হাসানের ভাইয়ের পরিচিতি খুব কম ছিল।
এ ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের প্রকৃত নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। উপজেলা যুবলীগের পদ বঞ্চিত গ্রুপটি কেন্দ্রীয় যুবলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তারা মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির বাতিল করে প্রকৃত যুবলীগ নেতাদের নিয়ে আহবায়ক কমিটি গঠন করে সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা যুবলীগের কমিটি দেয়ার দাবী জানান।
এমবি
