কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ক্ষতি বেড়েছে : লঞ্চ দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরা আইনজীবী আনিস

লঞ্চ দুর্ঘটনায় ভাগ্যক্রমে স্ত্রীকে নিয়ে বেঁচে ফেরা যাত্রী বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতি ও সনাকের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মনে করেন লঞ্চ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে ক্ষয়ক্ষতি বৃদ্ধি পেয়েছে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তৎপর থাকলে এতো মানুষ হতাহত হতো না। তিনিই সর্বপ্রথম বিষয়টি ৯৯৯ ও বরিশালের পুলিশ সুপার মারুফ হোসেনকে অবহিত করেন।
বরগুনার বিশিষ্ট দেওয়ানী আইনজীবী আনিসুর রহমান বলেন, যখন আগুন লাগে এর ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরে লঞ্চটির যে গতি ছিল সেই গতিতে চলতে চলতে নদীর প্রায় কিনারায় চলে আসে। ওই সময় নোঙর ফেলে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ থামাতে চেষ্টা করেনি। আমি স্ত্রীকে নিয়ে একদম সামনেই অবস্থান করছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই লঞ্চটি আবার নদীর মাঝে চলে আসে। নদীর মাঝে থাকা অবস্থায় বেশি সংখ্যক প্রাণহানি হয়েছে এবং আট নয়জন নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মৃত্যু বরণ করেন।
এরপর নদীর অপর প্রান্তের কাছাকাছি আসলে স্থানীয় লোকজন ট্রলার নিয়ে আমাদের নামতে সহায়তা করেন। অনেকে আহত অবস্থায় ঝাঁপ দিয়ে নেমে যায়। অনেক নারী পুরুষ পদদলিত হয়ে আহত হন। এক নারীর পা চামড়ার সাথে ঝুলতে দেখেছি। জীবনে হয়তো কোনো ভালো কাজ করেছেন অথবা মানুষের দোয়া আছে বলেই মর্মান্তি দুর্ঘটনার কবলে পড়েও বেঁচে ফিরেছেন বলে মনে করেন এই আইনজীবী।
এমবি