এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকান্ড

নৌপরিবহন মন্ত্রনালয় গঠিত অনুসন্ধান কমিটির প্রধান যুগ্ম সচিব তোফায়েল ইসলাম বলেছেন ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে দিয়াকুল নামক স্থানে এমভি অভিযান-১০ যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নি দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানান।
বেলা ১টায় বরগুনা সার্কিট হাউজে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত সাত সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চের প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীদের জবানবন্দী গ্রহণের পূর্বে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় অনুসন্ধান কমিটির মধ্যে বরিশাল নৌপুলিশ বরিশাল পুলিশ সুপার মো. কফিল উদ্দিন, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার এন্ড শিপ সার্ভেয়ার তাইফুর আহমেদ ভুইয়া, ভায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স-এর উপ-পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভুইয়া বাংলাদেশ আভ্যন্তরীন নৌ-চলাচল (যাপ) সংস্থার পরিচালক মামুন-অর-রশীদ এবং বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অনুসন্ধান কমিটির প্রধান মো. তোফায়েল ইসলাম আরও বলেন, অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্তে যাওয়া যাচ্ছে না। দুর্ঘটনায় কবলিত অধিকাংশ যাত্রীর বাড়ি বরগুনায়। এ কারণে লঞ্চের প্রত্যদর্শী যাত্রী এবং উদ্ধারকারীদের সাথে কথা বলার জন্যে তারা অজ বরগুনায় এসেছেন।
তাদের কাছ থেকে সরাসরি শুনে ঘটনার সময় লঞ্চে কর্মরত স্টাফদের ভূমিকা কী ছিলো তা আমরা নির্ণয় করতে পারবো।নদী বন্দর থেকে জাহাজ ত্যাগ করার পূর্বে বন্দর কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নিয়ে জাহাজ ত্যাগ করার নিদের্শনা থাকলেও সেটি করা হয়েঝছল কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নে তোফায়েল হোসেন বলেন, যেহেতু ২৩ ডিসেম্বর ঘটনার পরপরই অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থলে কার্যক্রম পরিচালনা করায় এবিষয়ে অফিসে খোঁজখবর নিয়ে অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করবেন।
বেসরকারী যাত্রীপরিবহনে এই দুর্ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে কোন মামলা করা হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঝালকাঠি থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
এইচকেআর