ঢাকা রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news

আমতলীসহ উপকূলীয় এলাকা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার জীববৈচিত্র্য

আমতলীসহ উপকূলীয় এলাকা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার জীববৈচিত্র্য
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরগুনার আমতলীসহ উপকূলীয় এলাকায় অবাধে বন জঙ্গল নিধন ও অতিরিক্ত নানা রকমের কীটনাশক প্রয়োগের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম প্রকৃতির রকমারী পশু পাখি। সেই সাথে কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় গরু মহিষের হাল চাষ প্রায় বিলুপ্তির পথে। এক সময় গ্রাম বাংলার আদিবাসীদের ঘুম ভাঙতো নানা রকম পাখির কিচিরমিচির কলতানে। সকাল সন্ধ্যায় শোনা যেত নানা রকমের পাখির কলধ্বনী। বন জঙ্গলে দেখা যেত নানা প্রজাতির রং বেরঙের পশু পাখি কিন্তু সে সকল এখন শুধু স্মৃতি।

আমতলীর অতিপরিচিত পশু পাখি বিলুপ্তির পথে। কিছু কিছু প্রজাতির পশু পাখি এখনও টিকে আছে বৈরী পরিবেশ আর প্রতিকুলতায়। কিন্তু এর সংখ্যাটি খুবই কম। ঐতিহ্যবাহী এক কালের অতিপরিচিত সাদা বক, মাছ রাঙা, গাংচিল, ডাহুক, শাকিল ও ঝাঁক বাধা ঘুঘু কিংবা সবুজ টিয়ের দল আর দেখা যায় না।

প্রয়োজনীয় বন জঙ্গল না থাকায় বিলুপ্ত প্রায় নানা রকমের বন্য পশু ও এদের মধ্যে সজারু, বাঘডোরা, বেজী, ডাল গোয়েন্দা, খরগোশ, বন বিড়াল ও শেয়াল অন্যতম। মানুষের বসবাস বাড়ার সাথে সাথে বন জঙ্গল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এবং সেই সাথে নানা রকম বৈরী প্রতিকুল পরিবেশের কারণে প্রকৃতির এসব রকমারী পশুপাখিও হারিয়ে গেছে এ অঞ্চল থেকে। তবে এগুলো রক্ষার্থে সবাইকে সচেতন হবে হবে নইলে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটাও অসম্ভব কিছু নয়। এদিকে কালের বিবর্তনে এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী গরু-মহিষের হাল চাষ এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। ট্রাক্টর, পাওয়ার ট্রিলার দিয়ে জমি চাষ করা হচ্ছে এখন।

স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে একমাত্র বাদুরই উড়তে পারে। দিনের বেলায় অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় থাকে। এরা সাধারণত গুহার দেয়ালে থাকে। রাতে খাবারের সন্ধানে বের হয়। বেশিরভাগ বাদুর ফলমূল খায়। তবে এদের ছোট ছোট পোকামাকড় ধরেও খেতে দেখা যায়। বাদুর চোখে ভালো দেখে না। তাই চলাফেরার জন্য সে শ্রবণ শক্তিকে কাজে লাগায়। উড়ে চলার সময় এরা উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ করে, যা মানুষের শ্রবণসীমার চাইতে বেশি। সেই শব্দ যখন বাধা পেয়ে ফিরে আসে, তখন ঘুটঘুটে অন্ধকারেও বাদুর বুঝতে পারে সামনে কী আছে, তার আকার কেমন এবং তার শিকার কতদূরে রয়েছে ইত্যাদি।  

বরগুনা বন বিভাগের কর্মকর্তা কেএম ফিরোজ কবির মুঠোফোনে বলেন, অবাধে বন জঙ্গল নিধন ও অতিরিক্ত নানা রকমের কীটনাশক প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। পরিবেশের জন্য আমাদের জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করতে হবে।

 

 


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন