ঢাকা রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news

আমতলী-তালতলীতে টিকা পেয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ

আমতলী-তালতলীতে টিকা পেয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ২ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫৭ জন নারী- পুরুষকে  টিকার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।এর মধ্যে আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ১ লাখ ৭ হাজার ৩৭৫ জন নারী-পুরুষকে পূর্ণ দুই ডোজ টিকার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে।১ রাখ ৪২ হাজার ১৮২জনকে দেওয়া হয়েছে প্রথম ডোজ।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মহামারি করোনা প্রাদুর্ভাব রোধে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে চূড়ান্ত করা জাতীয় করোনার টিকা প্রয়োগ পরিকল্পনায় সরকার দেশের জনসংখ্যার শতকরা ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই পরিকল্পনাকে সামনে রেখে ও মহামারি করোনা প্রাদুর্ভাব রোধে দু’উপজেলার (আমতলী ও তালতলী) দুটি স্থায়ী কেন্দ্র থেকে বন্ধের দিন ব্যতীত প্রতিদিন গড়ে ২ হাজারের উপরে  নারী-পুরুষকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে।

(আমতলী-তালতলী) প্রায় ৪ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে থেকে গত ১০ মাসে (৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ১ লাখ ৪২ হাজার ১৮৫ জন নারী-পুরুষকে প্রথম ডোজ এবং ১ লাখ ৭ হাজার ৩৭৫ জন নারী-পুরুষকে পূর্ণ দুই ডোজ টিকার আওতায় নেওয়া সম্ভব হয়েছে।

উপজেলা দুটিতে  করোনা টিকার হার বাড়াতে গত দুই মাসে (নভেম্বর ও ডিসেম্বর) দুটি স্থায়ী কেন্দ্রের পাশাপাশি আরো ৪৫টি টিকাদান ক্যাম্প বাড়ানো হয়েছে। ওই ৪৫টি কমিউনিটি ক্লিনিককে টিকাদান কেন্দ্র বানিয়ে প্রতিটি কেন্দ্র থেকে ২ মাসে ১ হাজার জন নারী-পুরুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট দেওয়া হয়।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মু. আবুল বাশার মুঠোফোনে বলেন, বন্ধের দিন ব্যতীত প্রতিদিন দু’উপজেলার দুটি স্থায়ী কেন্দ্র থেকে গড়ে ২ হাজার নারী-পুরুষকে করোনার টিকা প্রদান করা হচ্ছে। এ ছাড়া গত ২ মাস পর্যন্ত দু’উপজেলায় আরো ৪৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকে কেন্দ্র স্থাপন করে টিকা প্রদান করা হচ্ছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থায়ী কেন্দ্র করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসা বৃদ্ধা  আনোয়ারা বেগম  (৬৫) বলেন, আজ আমি ও আমার পরিবারের ৪ সদস্য করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ সম্পূর্ণ করেছি ।

হলদিয়া  কমিউনিটি ক্লিনিক কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা  হাফেজ মিয়া  বলেন, আমি করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিতে এসেছি। এত দেরি করে নিতে আসলেন কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি হেসে বলেন, ভাবছিলাম নেব না। এখন দেখি সবাই নেয় তাই আমিও নিতে এসেছি।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল মুনয়েম সাদ মুঠোফোনে বলেন, মহামারি করোনা রোধে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি-থেকে  ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ মাসে দু’উপজেলার ১ লাখ ৭ হাজার ৩৭৫জন পুরুষ-মহিলাকে পূর্ণ দুই ডোজ করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। বরগুনার জেলার ৬টি উপজেলার মধ্যে আমরাই সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে টিকা প্রদানের আওতায় নিয়ে আসতে পেরেছি।

 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন