ঢাকা রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news

ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

 

 


বরগুনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবার ও মামলার সাক্ষীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার মা এবং মামলার সাক্ষীদের অভিযোগ, মামলার পর ধর্ষক নুরুল ইসলামের আত্মীয়স্বজন কিশোরী পরিবারকে এলাকাছাড়া করার হুমকি দিয়েছে।

এ ছাড়া জেল থেকে বের হয়ে তাদের মেয়েদেরও ধর্ষণ করা হবে বলে মামলার সাক্ষীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর মা জানান, মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তে এলে সাক্ষীরা উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন। এ সময় তদন্তকারী কর্মকর্তার সামনেই ধর্ষক নুরুল ইসলামের শ্যালিকা ফরিদা বেগম সাক্ষীদের ধমকাতে থাকেন। তদন্ত কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পর ফরিদা বেগম ও ধর্ষকদের কয়েকজন সহযোগী স্থানীয় প্রভাবশালী ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার মাকে এলাকাছাড়া করার হুমকি দেয়।

ভুক্তভোগী কিশোরীর খালা বলেন, বোনের মেয়েটাকে নিয়ে এখন খুব ভয়ে আছি। কারণ নুরুল ইসলাম খুবই বাজে লোক। তার আত্মীয়স্বজনরা সাক্ষীদের হুমকি দিয়ে বলছে, জেল থেকে বের হয়ে তোদের মেয়েদেরও ধর্ষণ করবে।

একাধিক সাক্ষী জানান, তারা আসামিদের ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত। ওই এলাকার একজন বাসিন্দা মনির হোসেন। মনিরের দাবি, নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাদের ভয়ে এত দিন কেউ মুখ খোলেনি। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ায় তাদের অপরাধ সামনে এসেছে। আমরা সবাই কিশোরীর সঙ্গে এমন জঘন্য ঘটনার বিচার চাই।

এর আগে রোববার (২ জানুয়ারি) রাতে বরগুনা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম (৫২) ও তার ছেলে আরিফুল ইসলামকে (২৬) গ্রেফতার করে পুলিশ। বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার (৩ জানুয়ারি) সকালে কিশোরীর মা বাদী হয়ে বরগুনা থানায় একটি মামলা করেন। আসামি নুরুল ইসলাম বরগুনা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এ কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। কিশোরী ও তার পরিবারের নিরাপত্তায় আইনগত সহায়তা ও নিরাপত্তা অব্যাহত থাকবে।


এসএম
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন