পাথরঘাটায় ডাকাতি, জনতার হাতে আটক

বরগুনার পাথরঘাটায় গভীর রাতে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল হামলা করেছে বলে জানাগেছে। ওই ঘটনায় জনতা এক ডাকাতকে ধরে পুলিশে দিয়েছে। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে তিনটার দিকে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের গহরপুর গ্রামের খান বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
এ সময় ডাকাতরা স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা পয়সা লুটে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সুজন নামের সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দলের এক সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটক ডাকাত সদস্য রাজাপুর উপজেলার চারাপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম মোজাম্মেল হক বলে জানান অভিযুক্ত ডাকাত সুজন।
ডাকাতির ঘটনায় গুরুতর আহত সোহেল (২৫) ও তার বড় ভাই রাসেল (৩০) ও আটককৃত ডাকাত সুজন কে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে সোহেলের মাথায় ৬ টি সেলাই দেয়া হয়।
সোহেল ও রাসেল জানান, রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে বসত ঘরের সামনের দরজা ভেঙে দেশীয় অস্ত্রসহ চারজন ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। এ সময় বাধা দিলে সোহেলের মাথার উপর রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং পরে রাসেলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে । এসময় ওই ঘরের লোকজনের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে । গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১ ডাকাত কে পাকড়াও করতে পারলেও অপর ৩ ডাকাত পালিয়ে যায়।
আটক সুজন ডাকাতির ঘটনা স্বীকার করে বলেন, তার সাথে আরও তিন জন ছিল তারা পালিয়ে যায়।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক জিএম আকবর বলেন, ডাকাতির ঘটনায় দুজন হাসপাতালে ভর্তি আছে। এর মধ্যে সোহেলের মাথায় আঘাত হয়েছে এবং সেলাই দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি তদন্ত সঞ্জয় কুমার বলেন, আটককৃত ডাকাত পুলিশের জিম্মায় চিকিৎসাধীন আছে, তদন্ত চলছে। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে অতিরিক্তপুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) মো. তোফায়েল আহমেদ বলেন, যে বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, সে বাড়িটি খেটে খাওয়া মানুষের একটি বাড়ি। কী কারণে ওই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটলো, সে বিষয়ে তদন্ত না করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এইচকেআর