আমতলীতে খাল খননে হাজারো কৃষকের মুখে হাসি
.jpg)
বরগুনার আমতলী উপজেলার দক্ষিনতক্তাবুনিয়া গ্রামে একটি খাল খননের ফলে হাজারো কৃষক পরিবার ও ১০ হাজার মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। এখন আর তাদের বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। ফলে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন তারা।
জানা গেছে, ওই গ্রামের পাঁচ শতাধিক কৃষক ৬০০ বিঘা জমি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। পানি দেওয়ার বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জমি চাষের পর ফাল্গুন-চৈত্র মাসের শেষের দিকে বৃষ্টির জন্য কৃষকদের অপেক্ষা করতে হতো। আবার বৈশাখে ঝড়-বৃষ্টিতে তাদের কষ্টার্জিত ফসল বাড়িতে নিতে অনেক বেগ পেতে হতো। দীর্ঘদিন ধরে তাদের এমন দুর্ভোগ দেখে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিকের সহযোগিতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসির মাধ্যমে খাল খনন করে। খাল খননের পর কৃষকের জমির পানির সমস্যা সমাধানের সহজেই কৃষকরা তাদের জমির ধান বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এখন আর জমিতে পানি দেওয়ার জন্য বৃষ্টির অপেক্ষা করতে হবে না। খাল খননের ফলে খালে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে কৃষকরা সহজেই জমিতে পানি দিতে পারযেন।
স্থানীয় কৃষক মো. গফুর আকন বলেন, খাল খননের মাধ্যমে আমাদের জমিতে এখন পানি দিতে কোনো সমস্যা হবেনা। একই গ্রামের কৃষক ও ইউপি সদস্য অঅবু সালেহ জানান, খাল খননের মাধ্যমে এলাকার কৃষকদের পানি সমস্যার সমাধান হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল লতিফ গাজী বলেন, খাল খনন প্রকল্পের কারণে এখন আর জমিতে পানির অভাব হবেনা । দু পাড়ে রাস্তা হওয়ার কারণে কোলা (বিল) থেকে ধান আনতে অসুবিধা হবে না। এখন ট্রলির মাধ্যমে ধান আনতে পারব। কৃষক মোকলেছ হাওলাদার জানান, খাল খননের আগে জমিতে পানি দিতে হতো। এখন খালের পানি জমিতে ব্যবহার করতে পারবো।
বিএডিসির উপ সহকারী প্রকৌশলী মো মোহাইমিনুল ইসালম মুঠোফোনে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিন তক্তাবুনিয়া গ্রামের কৃষকরা পানি অভাবে দুশ্চিন্তায় থাকতো। ধান বের হওয়ার সময় পানির অভাবে অধিকাংশ ধানেই চিটা হতো। এ বিষয়ে গ্রামের লোকজন আমাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিল। খাল খননের মাধ্যমে এল অকার দীর্ঘদিনের এ সমস্যা দুর হয়ে যাবে। উপকৃত হবে দু -পাড়ের ১০ হাজার মানুষ।
হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক মুঠোফোনে বলেন,দক্ষিন তক্তাবুনিয়া গ্রামের কৃষকদের পানির সমস্যা ছিল বছরের পর বছর ধরে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে কৃষকদের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসি মাধ্যমে প্রকল্প দাখিল করে খাল খনন করতে পারায় দক্ষিন তক্তাবুনিয়া গ্রামের কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবী পূরন করতে সক্ষম হয়েছি।
এসএম