ঢাকা রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news

চিত্রনায়িকা শিমু হত্যাকারীদের ফাঁসি চাইলেন বাবা নুরুল ইসলাম রাঢ়ী

চিত্রনায়িকা শিমু হত্যাকারীদের ফাঁসি চাইলেন বাবা নুরুল ইসলাম রাঢ়ী
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ঢাকায় খুন হওয়া আলোচিত চিত্র নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বাবা মো. নুরুল ইসলাম রাঢ়ী মুঠোফোনে বিলাপ করছিলেন আর বলছিলেন, আমার আদরের মেয়ে শিমুকে যারা হত্যা করেছে তাদের আমি ফাঁসি চাই। আমতলীর মেয়ে রাইমা ইসলাম শিশুর হত্যার খবর আমতলীতে ছড়িয়ে পড়লে এলাকা জুড়ে  নেমে আসে শোকের ছায়া।

রাইমা ইসলাম শিমুর গ্রামের বাড়ী বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে। তার নানা বাড়ী একই উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামে। শিমুর বাবা মো. নুরুল ইসলাম রাঢ়ী গ্রামের বাড়ী ছেড়ে স্ত্রী দুই ছেলে হারুন অর রশিদ, সাইদুল ইসলাম খোকন, শিমু ও ছোট মেয়ে ফাতেমাকে নিয়ে ১৯৯৫ সালে আমতলী শহরে ফেরিঘাটের সবুজবাগ এলাকায় বসবাস করতেন। শিমু তখন স্কুল ছাত্রী। ছোট বেলা থেকেই শিমুর নাচ গানের প্রতি যোক ছিল। আমতলীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিমুর নাচ গানের প্রসংশা ছিল তখন মানুষের মুখে মুখে।

আলোচিত চিত্র নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর লাশ উদ্ধারের পর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আমতলীর শহরের শোক নেমে আসে।

১৯৯৬ সালে পারিবারিক কারনে শিমুর মা রাশেদা বেগম চার ছেলে মেয়ে নিয়ে ঢাকায় চলে যান। সেখানে বসবাসের সময় পরিচয় হয় চিত্র পরিচালক কাজী হায়াতের সাথে। ১৯৯৮ সালে চিত্র জগতে প্রবেশের পর আমতলীর ছোট শহরের মেয়ে শিমুর নাম রুপালী পরদার বদৌলতে হয়ে যায় রাইমা ইসলাম শিমু। একের পর এক বিভিন্ন সিনেমায় অভিনয়ের পর শিমুর নাম ছড়িয়ে পড়ে আমতলীসহ সারা দেশে।

শিমুর মা এবং তাদের পরিবার ঢাকা চলে গেলেও পারিবারিক কারনে শিমুর বাবা মো. নুরুল ইসলাম রাঢ়ী আমতলীর জমি বিক্রি করে চলে যান যান নিজ গ্রাম উত্তর তক্তাবুনিয়ার বাড়ীতে। পরবর্তীতে ওই বাড়ি ছেরেও বর্তমানে বসবাস করছেন হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া গ্রামে। একবার সে হলদিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

সোমবার রাত ১০ টায় ছেলেদের ফোন এবং টেলিভিশনের খবরের মাধ্যমে জানতে পারেন তার মেয়ে শিমু খুন হয়েছে। ওই রাতে আমতলী থেকে ঢাকা যাওয়ার কোন বাহন না থাকায় মঙ্গলবার খুব সকালে শিমুর বাবা মো. নুরুল ইসলাম রাঢ়ী রওয়ানা দেন ঢাকার উদ্দেশ্যে। বিকেল সোয়া ৫ টার সময় মোবাইল ফোনে কথা হয় তার সাথে। কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার মাইয়াডারে অনেক আদর স্নেহ দিয়া বড় করছি হেই মাইয়াডারে ওরা মাইর‌্যা হালাইছে। আমি আর কিছু চাই না শুধু আমার মাইয়ার হত্যা কারীদের ফাঁসি চাই।

 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন