ঢাকা রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news
অভিযান-১০ ট্র্যাজেডির ৩০ দিন

‘লাশ পাইলেও কবরটা দেইখ্যা শান্তি পাইতাম’

‘লাশ পাইলেও কবরটা দেইখ্যা শান্তি পাইতাম’
কুলসুম।
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

‘মোর বুকের মানিক আরিফ বাজান আর ফিরে আইব না। নাতনি কুলসুমও আর আইব না। ও আল্লাহ মোরে লইয়া গেলা না ক্যা। মোর বাইচ্চা থাইক্কা কী অইব।


মুই বাজান আরিফ ও নাতনির লাশ পাইলেও কবর দেইখ্যা একটু শান্তি পাইতাম। ’ সুগন্ধা নদীতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত আরিফুর রহমানের (৩৫) বাড়িতে  শনিবার এভাবেই মাতম করছিলেন তাঁর মা আলেয়া বেগম।

আরিফ বরগুনার বেতাগীর মোকামিয়া এলাকার লতিফ মৃধার ছেলে। চার ভাই-বোনের মধ্যে আরিফ সবার বড়। চার বছর বয়সী মেয়ে কুলসুমকে নিয়ে আরিফ রাজধানীতে বোনের বাসায় বেড়াতে যান। ফেরার পথে গত ২৩ ডিসেম্বর এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হন তাঁরা।

আরিফ কৃষি কাজ করতেন এবং তাঁর স্ত্রী খাদিজা বেগম গৃহিণী। এই দম্পতির আট ও চার বছর বয়সী দুই মেয়ে ও এগারো মাস বয়সী এক ছেলে রয়েছে। কুলসুম ছিল তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান।

আরিফের মা বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘ব্যাবাক্কে তো লাশ পায়, মুই তো কিছুই পাই নাই। ’ খাদিজা বেগম বলেন, ‘আমি জিগাইলাম, না বইলা লঞ্চে উঠছো ক্যা? আমারে ফোনে কইল বাড়িতে একটু কাজ আছে। ’

মোকামিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী জালাল আহমেদ জানায়, ‘ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা করা হয়নি। তবে ব্যক্তিগতভাবে ওই পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। ’

এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, ‘আরিফের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসন থেকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। ’

 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন