‘লাশ পাইলেও কবরটা দেইখ্যা শান্তি পাইতাম’

‘মোর বুকের মানিক আরিফ বাজান আর ফিরে আইব না। নাতনি কুলসুমও আর আইব না। ও আল্লাহ মোরে লইয়া গেলা না ক্যা। মোর বাইচ্চা থাইক্কা কী অইব।
মুই বাজান আরিফ ও নাতনির লাশ পাইলেও কবর দেইখ্যা একটু শান্তি পাইতাম। ’ সুগন্ধা নদীতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত আরিফুর রহমানের (৩৫) বাড়িতে শনিবার এভাবেই মাতম করছিলেন তাঁর মা আলেয়া বেগম।
আরিফ বরগুনার বেতাগীর মোকামিয়া এলাকার লতিফ মৃধার ছেলে। চার ভাই-বোনের মধ্যে আরিফ সবার বড়। চার বছর বয়সী মেয়ে কুলসুমকে নিয়ে আরিফ রাজধানীতে বোনের বাসায় বেড়াতে যান। ফেরার পথে গত ২৩ ডিসেম্বর এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হন তাঁরা।
আরিফ কৃষি কাজ করতেন এবং তাঁর স্ত্রী খাদিজা বেগম গৃহিণী। এই দম্পতির আট ও চার বছর বয়সী দুই মেয়ে ও এগারো মাস বয়সী এক ছেলে রয়েছে। কুলসুম ছিল তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান।
আরিফের মা বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘ব্যাবাক্কে তো লাশ পায়, মুই তো কিছুই পাই নাই। ’ খাদিজা বেগম বলেন, ‘আমি জিগাইলাম, না বইলা লঞ্চে উঠছো ক্যা? আমারে ফোনে কইল বাড়িতে একটু কাজ আছে। ’
মোকামিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী জালাল আহমেদ জানায়, ‘ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা করা হয়নি। তবে ব্যক্তিগতভাবে ওই পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। ’
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, ‘আরিফের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসন থেকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। ’
এইচকেআর